১৭ অক্টোবর, আজ বিশ্ব ট্রমা দিবস। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে, জরুরী পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচানো এবং নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া এবং আঘাতজনিত আঘাতে ভুগছেন তাদের জন্য সময়মত চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবস পালন করা হয়। –ডেইলি বাংলাদেশ
আহত মানুষের সেবা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্ব ট্রমা দিবস পালন করছে। বাংলাদেশে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যত মানুষ নিহত হয়, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি মানুষকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়। ১০ গুণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় এবং ৩০ গুণ মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয়। ফলে বিশেষজ্ঞরা আঘাতজনিত ট্রমা কমাতে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন। –আমাদের সময়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয় এবং আহত হয় পাঁচ কোটির বেশি মানুষ। বাংলাদেশে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যত মানুষ নিহত হয়, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি মানুষকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়; ১০ গুণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় এবং ৩০ গুণ মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয়। –প্রতিদিনের সংবাদ
জাতীয় অপরাধ-সংক্রান্ত রেকর্ড বু্যরোর (এনসিআরবি) তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে প্রায় ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৭ জন শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। ট্রমার কারণে রোগের হার এখন আতঙ্কজনকভাবে বাড়ছে। এতে শুধু অসুস্থতা ও মৃতু্যর হার বাড়ছে তা নয়, বরং সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণদের মৃত্যুর কারণে জাতীয় উৎপাদনে বিপর্যয় আনছে। –ঢাকা নিউজ
২০৩০ সাল নাগাদ দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর কথা থাকলেও প্রতি বছর দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। ট্রমা ইনজুরিতে আহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাথা ও স্পাইনাল কর্ড বা মেরুদন্ডে আঘাতপ্রাপ্ত। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি পঙ্গুত্বের হারও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। নেই প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ। তবে সচেতনতা সৃষ্টি ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অভিমত দিয়েছেন। –দৈনিক ইত্তেফাক