বাংলাদেশে কর্মরত একজন শ্রীলঙ্কানের মতে, “বাংলাদেশীরা যতোই ভারতীয় বা শ্রীলংকানদের উচ্চ বেতনে জব করার বিরোধিতা করুক না কেন, আগামী ১০ বছরে দেশে দ্বিগুণ ইন্ডিয়ান ও শ্রীলঙ্কান হাই পেমেন্টে জব করবে।” কারণ হিসেবে তার মতে- “বাংলাদেশের তরুণদের অধিকাংশের কোন স্কিল নাই। এমনকি তারা ম্যানারও জানে না। জানার চেষ্টাও করে না। ভারত এসব দিকে বেশ এগিয়ে।
এখানে এমবিএ করা তরুণ এমবিএ করে কি শিখেছে উত্তর দিতে পারে না। একটা ইন্টারভিউ নিতে বসলে দেখা যায় তরুনদের কতো উদাসীনতা। জব মার্কেট, কোম্পানি, প্রোডাক্ট কিচ্ছু না দেখে, না জেনেই ৯০ ভাগ মানুষ ইন্টারভিউ দিতে আসে এই আশায় যে তার জব হবে আর কোম্পানি তাকে মাসে মাসে মাইনে দিবে।
পরীক্ষার আগের রাতে মুভি দেখাকে যে কুল এবং স্মার্টনেস ভাবে, প্রশিক্ষন না করে পিজ্জা পার্টি দেয়াকে যারা বেশি জরুরী ভাবে, সে কোম্পানিতে জয়েন করার পর যেদিন প্রজেক্ট ডেডলাইন থাকবে, তার আগের রাতে যে কাজ বাদ দিয়ে অন্য কিছু করবে না, তার নিশ্চয়তা কি? যে ২৫ বছরে কখনও সিন্সিয়ার ছিলো না, সে কি সিন্সিয়ার হবে? তাকে কেন কেউ ট্রাস্ট করবে? ইন্ডিয়ান শ্রীলংকান দের গালি দেন? আমাকে বলেন তো ফ্যান্টাসির জগতে বাস করা যে তরুণ, আজকে জব খুঁজছে বা কোনমতে যাওয়া আসা করে যারা দিন পার করছে, সে যদি কোনদিন কোন কোম্পানির সিইও হয়, তাহলে ওই কোম্পানির কি হাল হবে? আর এরকম কিছু কি মালিক পক্ষ চাইবে?
ইন্ডিয়ান কারিকুলাম বিশ্বমানের। সেখানে যে পড়াশুনা বা প্রাক্টিস হয়, তাতে সেখানকার তরুনরা জব মার্কেটের জন্য অনেক বেটারভাবে প্রস্তুত হয়। তারা সারাবিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। কাজেই এই তরুণদের ভিতর থেকেই অনেকে বাংলাদেশী কোম্পানির টপ পজিশনে আসবে। ইগোইস্টিক এবং ব্যাকডেটেড কারিকুলাম প্রাক্টিশনার বর্তমান প্রজন্ম তাদের সাথে পেরে উঠবে না।”
Collected by Dr. Md. Sabur Khan from a post on “Global Bangladesh Forum”.