মহানবী নীরব থাকতেন। কম হাসতেন। মুচকি হাসতেন। তাহাজ্জুদ নামাজ ত্যাগ করতেন না। প্রত্যহ শতবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। কখনোই প্রতিশোধ নিতেন না। যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কাউকেই আঘাত করেননি। বিপদে পড়লে তাৎক্ষনিক নামাজে দাঁড়িয়ে পড়তেন। অসুস্থ হলে বসে নামাজ পড়তেন। শিশুদের সালাম ও স্নেহ দিতেন। সমবেত মহিলাদের সালাম দিতেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে কোমল আচরণ করতেন। সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। ঘুম থেকে জেগে মেসওয়াক করতেন। মিথ্যাকে সর্বাধিক ঘৃণা করতেন। উপহার গ্রহণ করতেন। সাদকাহ (দান) করতেন। সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করতেন। আল্লাহকে সব সময় ভয় করতেন। হাতে যা আসতো তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন। কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি উঠা না পর্যন্ত তিনি উঠতেন না। বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না। কথা বলার সময় সুস্পষ্টভাবে বলতেন যাতে শ্রবণকারী সহজেই বুঝে নিতে পারে। কথা, কাজ ও লেনদেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না। নম্রতাকে পছন্দ করতেন। তাঁর নিকট আগত ব্যক্তিদের অবহেলা করতেন না। কারো সাথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতেন না। শরীয়তবিরোধী কথা হলে তা থেকে বিরত থাকতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন। আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি নিয়ামতকে কদর করতেন। খাবারের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন না হয় বাদ দিতেন। ক্ষমাকে পছন্দ করতেন। সর্বদা ধৈর্য্য ধারণ করতেন। -সংগ্রহীত