শিরোনামে উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তরে দ্য রিপোর্টের সম্পাদক জানান, তার অভিজ্ঞতার আলোকে যে উত্তর দেওয়া যায়। সেই উত্তরগুলো একে একে লিখতে গেলেও যে লেখার সাইজ হবে, তা দিয়ে ৩৩ খণ্ডের বই করা যাবে। এখানে এ বিষয়ে লেখার চেষ্টা করেছি, তবে সংক্ষেপে। এতে যদি কারো সামান্য উপকারও হয়, তবেই সার্থক হবে লেখাটি।
দেশে নতুন আরও কয়েকটি মিডিয়া আসতেছে। এর বেশিরভাগই ছাপা পত্রিকা। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে এই খবরটি আমার কাছে খুবই আশা জাগানিয়া একটি খবর। ভীতি জাগানিয়া একটি মহামারির পর দেশের অর্থনীতি যখন টালমাটাল, সেই সময় মিডিয়ায় বিনিয়োগকারীদের এমন উৎসাহ-উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।
আমরা প্রায়শঃ দেখি, বিরাট আয়োজন করে মিডিয়ার যাত্রা শুরু করে কিছুদিনের ব্যবধানে সেগুলো হয় বন্ধ হয়ে গেছে বা পরে কাটছাট করে বনসাই গোছের মিডিয়া হিসেবে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে সেসব মিডিয়া আর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। পেশাদার সাংবাদিকদের দীর্ঘশ্বাস তাই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। নতুন মিডিয়াগুলো যাতে সেই ব্যর্থতার মিছিলের নবীন সদস্য না হয়, তারই জন্য মূলত এই লেখার অবতারণা। মূলত লেখার মতামতগুলো নিতান্তই আমার পর্যবেক্ষণ থেকে। আমার দুই যুগের সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় এ দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া প্রথম আলো ও বাংলাদেশ প্রতিদিনে কাজ করেছি। এ দুটি পত্রিকার যে সার্কুলেশন বাকি দৈনিকগুলোর সবগুলোর যোগফলও তার সমান হবে না। এ ছাড়া কাজ করেছি একেবারে ভিন্নধারার একটি নিউজ পোর্টাল পরিবর্তন ডটকমে, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে।
এ দুটো দৈনিক ও নিউজ পোর্টালে কাজ করতে গিয়ে আমি চাকরির দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের নানা খুঁটিনাটি বিষয়। আমার মনে হয়েছে একটি সংবাদপত্রের সাফল্য নির্ণীত হয় সাধারণত তিনটি বিচারে—
এক. সার্কুলেশন বা জনপ্রিয়তা (প্রধানতম লক্ষ্য)
দুই. গ্রহণযোগ্যতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা (নিগূঢ়তম লক্ষ্য)
তিন. বাণিজ্যিক সাফল্য (অস্তিত্বগত লক্ষ্য)
এই তিনটি বিষয় অর্জন করা গেলেই বলা যাবে একটি দৈনিক সফল ও সার্থক হয়েছে। এ তিনটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য কী কী করা যেতে পারে, তার জবাব খুঁজলেই মিলবে মিডিয়া জনপ্রিয় করার মূল সূত্র।
বিনিয়োগকারী:
মিডিয়া সম্পর্কে না জেনে যে বিনিয়োগকারী এ ব্যবসায় আসেন, তাঁর মাধ্যমে পেশাদার মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গড়া সম্ভব নয়। তাঁকে যেভাবেই হোক মিডিয়া এবং মিডিয়া ব্যাবসা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। পেশাদার মিডিয়ার জন্য পেশাদার বিনিয়োগকারী জরুরি।
সম্পাদক:
বিনিয়োগকারী উদ্যোক্তারা সম্পাদক বানানোর জন্য টিভির জনপ্রিয় টকশোর মুখ খোঁজেন। কেউ খোঁজেন সাংবাদিক নেতা। বিনিয়োগকারীদের ধারনা, যে যত জনপ্রিয় (আসলে শব্দটি হবে আলোচিত) তিনি ততো যোগ্য। এ যুগে মিডিয়া সম্পাদকের জনপ্রিয়তায় চলে না। আমি বলছি না যে, টকশো যাঁরা করেন তাঁরা সবাই অযোগ্য, বা যাঁরা প্রেসক্লাব করেন, তাঁরা সবাই অযোগ্য। মূলত এবং কার্যত মিডিয়া চালানোর দক্ষতা ও যোগ্যতা যাঁদের বেশি তাঁদের হাতে সাংবাদিক সংগঠন করবার মতো অতো সময় সেভাবে থাকে না।
বাংলাদেশে আপনি যদি মিডিয়ার একজন পেশাদার বিনিয়োগকারী হতে চান, আপনাকে যে কোনো মূল্যে দক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক গুণসম্পন্ন একজন সম্পাদককে খুঁজে পেতে হবে। পটেনশিয়াল সম্পাদক বাছাই করা যদিও কঠিন, তারপরও আপনি সাংবাদিক কমিউনিটিতে গিয়ে এ ব্যাপারে ভুলেও তাঁদের সহযোগিতা চাইতে যাবেন না। আপনি না বুঝলে দরকারে আপনার কোম্পানির পরিচালকদের নিয়ে সার্চ কমিটি করে সম্পাদক বাছাই করতে পারেন। সম্পাদকের আগের সাফল্য বা ট্র্যাক রেকর্ড বিবেচনাতেও নিতে পারেন।
মোটের ওপর একজন সম্পাদকের সুনির্দিষ্ট দক্ষতা, পেশায় পর্যাপ্ত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, স্মার্ট ও ফোকাসড এবং চাপের সময় অটল থাকার মানসিকতা থাকলেই তাঁকে আপনি বেছে নিতে পারেন। তবে সবার আগে খেয়াল রাখবেন তিনি নৈতিকভাবে সৎ কিনা। আরও মনে রাখবেন পত্রিকা ভাল না হলে সম্পাদক যতই বিখ্যাত হোন না কেন, সেই পত্রিকা পাঠক কিনবে না।
পত্রিকার নাম:
পত্রিকার আকর্ষণীয় একটি নাম পেয়ে যাওয়া মানে পত্রিকার ব্রান্ডিংয়ের অর্ধেকই যেন করে ফেলা। নামটি ছোট, সংক্ষিপ্ত, অর্থবহ, ইউনিক এবং উচ্চারনে যাতে সহজ হয় সে দিকে খেয়াল করতে হবে। পত্রিকার নামের কিন্তু অভাব নাই। প্রচলিত সফল পত্রিকার নাম এদিক ওদিক করে নাম দিলে হবে না।
মাস্টহেড:
পত্রিকার মাস্টহেড হতে হবে যুগোপযোগি, আধুনিক। তাহলে পুরনো টাইপো কি যুগোপযোগি না? পুরনোকে ফিরিয়ে আনাও আধুনিকতা। তবে এই আধুনিককালে নতুন-পুরানের সংমিশ্রণে মাস্টহেড হতে পারে। মাস্টহেডে মেধার ঝলক যেন থাকে। পেশাদার শিল্পী দিয়ে কাজ করাতে হবে।
কর্মী বাছাই:
একজন পেশাদার যোগ্য সম্পাদক সব সময়ই তাঁর মতো যোগ্য-দক্ষ কর্মীই নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তিনি পত্রিকার স্বার্থটাই বড় করে দেখেন, স্বজনপ্রীতি নয়। ফলে সেই মিডিয়া দাঁড়িয়েও যায়। কর্মী নিয়োগে সস্তামো করা যাবে না। এ যুগে সস্তায় ভাল পত্রিকা করা যায় না। কখনোই না। ভাল পত্রিকার জন্য ভাল সাংবাদিক দরকার। আর ভাল সাংবাদিকের জন্য ভাল স্যালারিও দিতে হবে।
কর্মীদের যোগ্যতা:
অন্য কোথাও চাকরি না পেয়ে ঠেকায় পড়ে যারা সাংবাদিকতায় আসেন তাদের মধ্যে সাংবাদিকতার প্রতি প্যাশন তৈরি হয় না। এরকম প্যাশন যাদের আছে সেরকম দক্ষ ও মেধাবী লোকবল নিতে হবে। সাংবাদিকতায় পড়ালেখা করা থাকলে ভাল হয়, তবে অন্য বিষয়ে পড়াশোনা করা লোকজনও ভাল করেন যদি তাঁর সাংবাদিকতার প্রতি ঝোকটা থাকে। বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে এ যুগে অনেক কিছুই জানা থাকতে হবে সাংবাদিককে। এমনকি প্রুফ রিডিংয়ের দক্ষতাও। এ ছাড়া বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে ফটোশপ, ভিডিও এডিটিং, ফটোগ্রাফি, প্রোগ্রাম প্রেজেন্টেশন, ভয়েস ওভার দিতে সক্ষমদের নিয়োগ দিতে হবে। লোকবল যেন অফিসের বোঝা না হয়। তারা যেন সম্পদ হয়।
কনটেন্ট:
কনটেন্ট হল পত্রিকার প্রাণ। এ যুগে ছাপা পত্রিকার বড় চ্যালেঞ্জ কনটেন্ট বাছাই। আগের দিনের ঘটনা পরেরদিন ছাপার অক্ষরে কিনে পড়তে টাকা খরচ করার মতো বোকা পাঠক কমই থাকার কথা। তাঁরা চাইবে ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ অনুসন্ধান। ইনডেপথ রিপোর্টিং এ ক্ষেত্রে আসল দাওয়াই। এটা যারা যত বেশি দিতে পারবে, তারাই টিকে থাকবে।
সংবাদ যেমন ছাপাতে হয়। তেমনি অনেক সংবাদ চেপেও যেতে হয়। ভাল পত্রিকায় গসিপ ও অশ্লীল খবর ছাপা হয় না।
মেকআপ:
কনটেন্ট জড়ো করা ও বাছাই করার পর পত্রিকার মেকআপের বিষয় চলে আসে। এটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি পত্রিকার কনটেন্ট দুর্বল হওয়ার পরও শুধু মেকআপের মুন্সিয়ানা দিয়েও এ দেশে একটি পত্রিকা শীর্ষ স্থানীয় হবার গৌরব অর্জন করেছে। পত্রিকাটির সাথে আমি জড়িত ছিলাম বলে বলছি না, আগে দর্শনধারী পরে গুনবিচারি— এই ফর্মুলায় পত্রিকাটিকে এমন সাফল্য দিয়েছে। মেকআপ যে ক্যারিশম্যাটিক কাজে দেয়, এটি আমরা কনে দেখানোর ক্ষেত্রে দেখে থাকি। পত্রিকার ক্ষেত্রেও এটি সমান প্রযোজ্য।
ফন্ট:
দৃষ্টিনন্দন মেকআপ বা অঙ্গসজ্জার আগে পত্রিকার জন্য ফরমায়েশ দিয়ে নতুন কাস্টমাইজ ফন্ট বানিয়ে নিতে হবে। কাস্টমাইজ ফন্ট পত্রিকাকে স্বকীয় করে তোলে।
ছবি ও ইলাস্ট্রেশন:
ভাল পত্রিকার বড় বৈশিষ্ট এটি। ভাল ছবি, কার্টুন ও অলঙ্করণ অন্য পত্রিকা থেকে আলাদা করে দেয়।
সমালোচনা ও প্রশংসা:
‘ব্যাড নিউজ ইজ গুড নিউজের’ যুগ এখন আর নেই। যদিও ওই ফর্মুলা এখনও কাজ করে। তবে এখন তার অতটা কার্যকারিতা নেই। সেই জায়গায় গঠনমূলক সমালোচনার একটি জায়গা তৈরি হয়েছে। সমালোচনা ও প্রশংসা এ দুটোর ভারসাম্য রেখে কনটেন্ট পরিবেশন করতে হবে। শুধু প্রশংসা বা শুধু সমালোচনা— এ প্রবণতা পত্রিকার সাফল্য আনে না এখন।
বিরোধীদল:
মিডিয়াও বিরোধী দল। তবে তার জায়গা বিরোধী দলের কাতারে নয়। ভিন্ন একটি জায়গায়। ফলে সারাক্ষণ সরকারের প্রশংসায় ভাসলে সেই পত্রিকা খোদ সরকারি দলই পড়বে না। আবার সারাক্ষণ সমালোচনামুখর থাকলেও সেই পত্রিকা চলবে না।
পত্রিকায় নতুন নতুন বিষয় সংযোজন:
প্রচলিত পত্রিকায় যা যা আছে, তা-ই যদি আপনার পত্রিকাতে থাকে, কেন এ পত্রিকা পড়বে মানুষ? এ জন্য নতুন পত্রিকায় নতুন বিষয় যোগ করতে হবে। জনবলের সিংহভাগ এ কারণে তরুণদের প্রাধান্য দিতে হবে। এদের মধ্য থেকেই আসবে নতুন নতুন ধারনা।
আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি:
এ যুগে মিডিয়ার ওপর বিশ্বাস এখন অনেকটাই কমে গেছে। এটি শুধু দেশেই নয়, সারাবিশ্বেরই সমস্যা। তবে আমাদের দেশে বিশ্বাস হারাবার মাত্রাটা বেশি। অথচ এককালে পত্রিকায় ছাপা সংবাদ মানেই তাকে ‘বাইবেল’ জ্ঞানে বিশ্বাস করা হতো। এ বিশ্বাস থেকেই তৈরি হয় পাঠকের আস্থা ও ভালবাসা। তাই পাঠকের বিশ্বাস হারায়— এমন মিথ্যা ও বানোয়াট খবর পরিবেশ করা যাবে না।
নিজস্ব কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী তৈরি:
কলাম এখন সাংবাদিকতার অন্যতম জনপ্রিয় একটি কনটেন্ট। কলাম পত্রিকার নিজস্ব হাউস থেকে লেখা হতে পারে, ফ্রিল্যান্সাররা লিখতে পারেন, পাশাপাশি লেখকদের একটি দলও হতে পারেন। সুপাঠ্য ও সমৃদ্ধ একটি কলাম কেবল পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণই করে না, এটি দীর্ঘ সময় ধরে পত্রিকার সুনাম ধরে রাখতে সাহায্য করে। এ জন্য পরিকল্পিত পত্রিকাকে একটি কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী তৈরি করে নিতে হবে। তাদের প্রত্যেককে স্টার বানাতে হবে। এতে আখেরে পত্রিকারই লাভ হবে।
ইস্যু বা এজেন্ডা সেটিং:
দেশের জন্য কেউ ভালো কিছু করলে, কোনো একটা আবিষ্কার বা অর্জন করলে তাঁকে অসাধারণভাবে এবং ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা। বিপরীত দিকে খারাপ চরিত্রকেও একইভাবে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা। শিশু ও নারীদের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়াসহ এরকম তাদের মতো সমাজের পিছিয়ে পড়া নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে তুলে ধরা।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ও ব্র্যান্ডিং:
বছরে তিনটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। এতে ব্রান্ডিংয়ে দারুণ সাড়া পাওয়া যাবে। সাহিত্য, শোবিজ এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রের জন্য। না পারলে কমপক্ষে শোবিজ ও ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে অন্তত দুটি উৎসব আয়োজন করা যেতে পারে।
হামলা ও মামলা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি রাখা:
এ দেশে পত্রপত্রিকার স্বাধীনতার অবস্থা কোনোকালেই স্বস্তিকর ছিল না। পত্রিকার ওপর খড়্গহস্ত হলে হয়রানিমূলক মামলা, বিজ্ঞাপন বন্ধে চাপ সৃষ্টি এবং অপপ্রচার নিয়মিত একটি বিষয়। তাই একটি আইনজীবী প্যানেলের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রাখা।
উপরে উল্লেখিত প্রক্রিয়ায় মিডিয়ার জনপ্রিয়তা নিশ্চিতভাবে বাড়ানো সম্ভব হবে। জনপ্রিয়তা ও ব্রান্ডভ্যালু বাড়লে অটোমেটিক বাড়বে তার গ্রহণযোগ্যতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা। এই বিশ্বাসযোগ্যতাই হল মিডিয়ার প্রাণ। এটি যখন অর্জিত হবে তখন বিজ্ঞাপনসহ নানা বাণিজ্যিক সাফল্যও আসবে। তখন হাসবে গোটা পত্রিকা পরিবারই। সবার বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধাও তখন বাড়বে। সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীরাও আর ভিন্ন মিডিয়ার দিকে ছুটবেন না। বা অনৈতিক অর্থকড়ির দিকেও ছুটবেন না তারা।
সবশেষ কথা, সাংবাদিকতা সাংবাদিকদেরই করা উচিৎ। সাংবাদিকতা, বুদ্ধিজীবীর কাজ সহজ কোনো কাজ নয়। আপনি কি কখনো দেখেছেন কোনো সাংবাদিক ডাক্তারি করছে? এটি করা সম্ভব নয়। আপনি কি দেখেছেন কোনো সাংবাদিক এরোপ্লেন চালাচ্ছে? এটিও সম্ভব নয়। তেমনি অন্য পেশার লোকদের পক্ষেও সম্ভব নয় প্রকৃত সাংবাদিকতা করার। এত কথা লিখলাম এ কারণে যে, তবুও এ দেশে নতুন মিডিয়া আসুক, ভাল করুক। দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখুক। মিডিয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে যাক। এ পেশাকে যাঁরা সত্যিকার অর্থে ভালবাসেন, তাঁদের চর্চার জায়গাটা থাকুক। কারণ, সাংবাদিকতাই যে তাঁদের প্রাণ।