কানিজ ফাতেমা সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১১ সালে। পরে এক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায় তার। চলাফেরায় হুইলচেয়ারই হয়ে ওঠে ভরসা। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কাছে হার মানেননি তিনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন থেকে মেজর পদবীতে উন্নীত হয়েছেন তিনি।
শনিবার (৪ জুন) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ফরমেশন কমান্ডারদের উপস্থিতিতে এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে, জীবন যুদ্ধে হার না মানা ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমাকে মেজর পদবীতে উন্নীত করেন।
পক্ষাঘাতগ্রস্ত কানিজ ফাতেমা আজ শুধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নয় দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নারী সমাজের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। যে গল্পের শুরু ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে। মেজর কানিজের প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।
কানিজ ফাতেমা দেশ সেবার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ২০১১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তার পক্ষে সেনাবাহিনীর কঠোর ও সুশৃংখল স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভবপর ছিল না। কিন্তু এই অকুতোভয় নারী, ভাগ্যের কাছে হার না মেনে দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন।