কখনো ইটভাটায় কাজ করে, কখনো নদীতে মাছ ধরে, কখনো খেতখামারে দিনমজুরি করে সংসার চালান হাসান পারভেজ (৩৯)। কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাতে লিখে বের করেন চার পৃষ্ঠার একটি পত্রিকা, নাম আন্ধারমানিক। তাতে উঠে আসে স্থানীয় মানুষের জীবনকথা। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের এই যুবকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নেছারউদ্দিন আহমেদ। বিস্তারিত
বৈশ্বিক গ্রামের মাতবরের হাতে বিশাল জাল ইন্টারনেট। যখন সেই ইন্টারনেট নামক জালে দুনিয়ার সব চিন্তা চেতনা আবেগ অনুভূতি টেনেটুনে একাকার করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে কম্পিউটারে সাথে তার সংযোগে আমরা সেই জালে আবদ্ধ হয়েছিলাম। ব্রডব্যান্ড লাইনের সংযুক্তিতে সারা দুনিয়ার খবরাখবর মিলে যায় মুহুর্তেই। সাইবার ক্যাফের চিপায়চাপায় ঠাসাঠাসিতে নতুন প্রজন্মের হাসাহাসির শব্দ চারদিক থেকে ভেসে আসতে শুরু করছিল। যা এখন আর চোখে পড়েনা কারণ স্মার্টফোন এখন হাতে হাতে চলে এসেছে। বিশ্বটাকে হাতের মুঠোয় পুরে দেখার স্বপ্ন ছিল দামাল ছেলে প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুলের। সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশার পূর্ণপ্রাপ্তিতে নতুন প্রজন্ম কিছুটা বেশামাল। সংবাদপত্র হাতে নিয়ে পড়াতো দূরের কথা ক্লাশের বইগুলো পড়তেই এখন তাদের আর মন বসেনা।
ইতিমধ্যে পেপারলেস কার্যালয় চালু হয়ে গেছে। যেখানে আর কোনো কাগজপত্রের দেখা মিলছেনা। এভরিথিং ডিজিটালাইজ্ড এন্ড কম্পিউটারাইজ্ড। ক্রিপ্টো কারেন্সির প্রচলনে হয়ত শিগগগিরই টাকারনোটও জাদুঘরে চলে যাবে। কারো আর ব্যাংকে কিংবা পকেটে থাকছেনা কাগজের নোট। হাতে ধরে টাকা গুনে দেয়ার নেয়ার আনন্দ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হাতে ধরে পত্রিকা পড়ার যুগেরও শেষ লগ্ন বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা। যখন পেপারমিল/ কাগজ তৈরির কারখানাগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তখন দক্ষিণ বাংলার এক স্বভাবজাত সাংবাদিক তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকশ্রমিক মেহনতি মানুষের প্রাণের কথা তুলে ধরতে “আন্ধারমানিক” নামে হাতে লিখে পত্রিকা প্রকাশের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এযেন টুনটুনি পাখির দুই পায়ে আকাশ ভেঙ্গে পড়া ঠেকানোর কল্পকাহিনী।
আমরা জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি ও সংগ্রহ বার্তা পরিবার হাসান পারভেজের আন্তরিক চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। তার কর্মমূল্যায়নে সবাই সদয় হবেন বলে প্রত্যাশা করি। সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আমরা আরেকজন সহযোদ্ধার খবর পেলাম প্রথমআলোর মাধ্যমে। ধন্যবাদ প্রথমআলোকেও…