বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীতে মাহমুদুল হাসান নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলে ছেলের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন জামালপুরের মৌ নামে এক তরুণী। মাহমুদুলের বাবার করা মামলায় অবশেষে তার জায়গা হলো বরগুনার কারাগারে। বিস্তারিত
জীবন তরী সময় সাগরের উত্তাল তরঙ্গে টালমাটাল মূহুর্তে একটা ছেলের জন্য একটা মেয়ে আর একটা মেয়ের জন্য একটা ছেলে অত্যাবশ্যক। যৌবনের মৌবনে কত ভোমর আসে যায় কে রাখে কার খবর? তবে শেষাবধি যার বুকে ঠাই নিয়ে জীবন পার করার নির্ভরতা খুঁজে পায় সেই হয় জীবন সঙ্গী।
জামালপুরের মেয়েটির ভুলের শেষ নাই। সে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছে বটে। বরগুনার ছেলেটির দোষও কম নয়। দু’জনই শাস্তির যোগ্য। ছেলেটি মেয়েটির সাথে একবার হলেও সাক্ষাত করেছে। কিছুদিন দু‘জন দু‘জনার কত যে আপন ছিল; তা মেয়ের মানসিকতায় প্রকাশ পেয়েছে। মেয়েটি থানা, পুলিশ আর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে ছিলনা। তার একটাই দাবি ছিল তার প্রেমিককে জীবন সঙ্গী করে নিবেন। সে আশা তার আর পূরণ হলনা।
গরিবের সামান্য ত্রুটি আকাশসীমা ছুঁয়ে যায় আর বড়লোকের বড় বড় অপরাধও আধাঁরে মিটে যায়। মেয়েটি নিম্নবিত্তের বলে তার পাড়া প্রতিবেশি আপনজন কারো কোনো সাপোর্ট পায়নি। পরিস্থিতি প্রতিকুলে তার জন্ম থেকে। না হয় তার পূর্বে বিয়ে হওয়া, সন্তান জন্ম দেওয়া ফের নতুন জীবনের অধ্যায়ের সূচনা করার পিছনে অনেক না বলা কষ্টের কথা রয়ে গেছে। সেসব আর বলা হবেনা।
চতুর ছেলের বুদ্ধিমান বাবার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়ে সোজা কারাগারে চলে গেলো জামালপুরের মেয়েটি। বরগুনার বেশ কিছু লোক মেয়েটির পক্ষে থাকলেও তার অভিভাবকহীনতা ও পূর্বের বিবাহ এবং বিচ্ছেদের প্রমাণাদি পেশ করতে না পারার দুর্বলতায় কেউ আর সামনে আসেনি। সামনে এসেছে বিচারের জন্য কতগুলো ধারা। সেসব ধারায় মেয়েটি কারাবরণ করতে বাধ্য। কিন্তু ছেলেটির আর কি হবে? বেঁচে গেলো সে রাহুর দশা থেকে।
কোনো মেয়ের জীবনে না আসুক এহেন পরিস্থিতি। আর ছেলেরাও সৎ জীবন যাপনে উৎসাহিত হোক এই প্রত্যাশা করি।