১০ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অমিত কুমার বিশ্বাস নামের এক ছাত্র শহীদ রফিক-জব্বার ৫ তলার ছাদ থকে দুপুর আড়াইটার দিকে বৃষ্টির সময় লাফ দিয়ে নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। বিস্তারিত
একই দিনে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। বিস্তারিত
যে শিক্ষা আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেনা; সে শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রীর সনদ গ্রহণ করে জাতীয় উন্নয়নতো দূরের কথা ব্যক্তি উন্নয়নই অসম্ভব। ১০ মে ২০২২এর জাবি ও রাবির ও দু’জন ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যাই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
দেখতে এদেরকে স্মার্ট মনে হলেও আসলে এরা আনস্মার্ট। দেখতে বিত্তবান বা মধ্যবিত্তের সন্তান মনে হলেও এরা মানসিকভাবে অত্যন্ত গরিব অসহায়। দেশের প্রচলিত শিক্ষায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক/মহাবিদ্যালয়ের মহাপরিকল্পনা ও মহাপরিচালনায় জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার মহান শিক্ষা থেকে কিছুই না শিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল বিদ্যাপিঠে অধ্যায়নের সৌভাগ্যকে সামান্যতম মূল্যায়ন করতে পারেনি বলে জাবির অমিত কুমার বিশ্বাস ছাত্রাবাসের ছাদ থেকে পড়ে আত্মহত্যা করল।
অন্যদিকে রাবির ছাত্রী সাদিয়া তাবাসুম তার জীবনের হিসেব মিলাতে না পেরে নিরক্ষর মুর্খের ন্যায় ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিলো সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পড়ুয়া একটি মহৎ প্রাণ। যে কিনা শুধু একটি পরিবারকেই নয়; একটি সমাজ ও একটি দেশকে আলোকিত করতে পারত। জাবি ও রাবির ২ ছাত্রছাত্রীর আত্মহননের কাহিনী হয় যেন শেষ দুঃসংবাদ। সেজন্য তাদের ছবি সংগ্রহ বার্তায় প্রকাশ করা হলো।
দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আত্মসচেতনমূলক ও আচরণ উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি। এখনই প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার।