সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ বলে, ওই চার কিশোরীকে কেউ অপহরণ করেনি বা তারা কারও প্ররোচনায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়নি। মূলত ওই চার কিশোরীর পারিবারে অভাব–অনটন থাকায় তারা স্বজনদের না জানিয়ে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা হলো—উপজেলার চরকাদিরার বাদামতলী এলাকার মো. ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে জোবায়দা আক্তার, জয়নাল আবেদিনের মেয়ে মিতু আক্তার, সামছুল আলমের মেয়ে সামিয়া আক্তার ও আবুল খায়েরের মেয়ে সিমু আক্তার। তাদের চারজনেরই বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।
তাদের বুঝিয়ে ৮ মে রাত ১১টার দিকে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধারের পরও ওই চার কিশোরী পরিবারের কাছে যেতে চাচ্ছিল না। বিস্তারিত
শিক্ষা, সমাজ কল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা সরকারের এই তিনটি অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যথাযথ কর্ম পরিকল্পনানুযায়ী কাজ করেন তাহলে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে পারে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসির গবেষণা বিভাগ। অন্যথায় দেশের উন্নয়নের উৎকর্ষতায় যতটা মন জুড়াবে তারচেয়ে মন পোড়াবে কুমিল্লার মেয়েটির মতো ক্ষুধার্ত পেটে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার সংবাদ দেখে দেখে।
কুমিল্লার সেই তরুণী ঘর থেকে বের হয়ে চলে এসেছিল চট্রগ্রামে। কোথায়ও ঠাই না পেয়ে ট্রেনযোগে কুমিল্লায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে শনিবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরের আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকার মীর আউলিয়া মাজারের উত্তর পাশে একটি ঘরের সামনে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় বসে ছিলেন। তখন তরুণীকে এক ব্যক্তি বাড়িতে তার পিতা-মাতার সঙ্গে রাখবেন এবং কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখান। তিন জন ব্যক্তি সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে দেওয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে মারধর ও মুখ চেপে ধরে পৌনে ১২টার দিকে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিস্তারিত