করোনা নিশ্চয়ই বিশ্ববিধ্বংসী মহামারি যাকে খোদার গজবও বলা হয়। দিকে দিকে কান্নার আওয়াজ। মা হারা সন্তানের কান্না নতুবা সন্তান হারা মায়ের কান্নার কথা ভেবে আনন্দ উৎসব বন্ধ করো। দুর্ভিক্ষের অশনি সংকেত ঘন্টা বাজছে বিশ্বব্যপি। দুই রুটির জন্য দীর্ঘ লাইনে তোমাকেও দাড়াতে হতে পারে। সারাদিনে সামান্য খেয়ে হয় জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া নাহয় জানাজা ছাড়াই গণকবরে মাটিচাপা খাওয়া।
অতএব, সাবধান হে নায়ক, তোমার চেয়ে নায়ক রাজ উপাধি পাওয়া রাজ্জাকের জৌলুষ কম ছিলনা। কম ছিলনা দাপট সিনেমার পর্দা কাঁপানো ভিলেন রাজিবের। তার প্রয়াণের কথাও ভেবো।
সাবধান হে নায়িকা, বিশ্ব সুন্দর নির্বাচন নেই বলে বাংলার দুই সফল নায়ক ও ভিলেনের নামোল্লেখ করেছি। কারো সাথে তুলনায় এনে তোমাকে খাট করতে চাইনা। কিন্তু এটুকু বলব যে, অধিকাংশ অতুলনীয়াকে তাদের সুডৌল স্তন অনাবৃত রেখে দর্শকের সামনে গিয়ে নানা অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে বিশ্ব সুন্দরী হতে হয়। গুঞ্জন শোনা যায় পরিচালককে বিশেষভাবে খুশি না করলে নায়িকার পদ জোটেনা। এতসব বিসর্জন দিয়ে অর্জিত জনপ্রিয়তাও বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি পৃথিবীর কোনো বিশ্বসেরা সুন্দরী। তুমি তাদের কারো চেয়ে কম নও জানি। তবে অদৃশ্য এক দৈত্যের থাবায় বিশ্ব বিধ্বস্ত। প্রতিদিন প্রাণহীন লাশের সারিতে সামিল হচ্ছে হাজারো সুন্দর আর সুন্দরী। আজ তুমি কিভাবে বলবে “দুনিয়াটা মস্ত বড়ো খাও দাও ফুর্তি করো। আগামীকাল বাচবে কি-না বলতে পার?”
কে সেই যুদ্ধবাজ? সীমান্ত রক্ষীদের পিছে ঠেলে এগিয়ে যায় দেশ থেকে দেশান্তরে। ইতিমধ্যেই সে বিনা অস্ত্রে বিশ্বজিৎ হয়ে বসে আছে ধরা ছোয়ার বাইরে। তাকে ধরতে বিশেষজ্ঞরা নিচ্ছিদ্র পোশাক পরেও ভয়ে ভীতিবিহ্বল। আর সাধারণকে আজ স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হতে হয়েছে সবধরণের বাণিজ্যিক ভাবনা দূরে ঠেলে। রপ্তানি আর আমদানি উভয় পথই রূদ্ধ। কার সাথে হচ্ছে যুদ্ধ?
বিশ্ববাসি সবাই যখন প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের ভয়ে আতঙ্কিত। তখনও তোমার উদাসীনতা মানা যায় না। মানায় না। ভাবছ ঘরবন্দীতো কি হয়েছে? ভার্চুয়াল জগত তোমাদের সামনে উন্মুক্ত। সেই উন্মুক্ত জগতের অধিকাংশদের বিচরণ কখনোই তোমার অনুকরণীয় হতে পারেনা। যেহেতু তোমাকেই আগামীর বিশ্ব সংস্কারের দায়িত্ব নিতে হবে। সেই দায়িত্বের সামান্য অবহেলায় বিশ্ববিপর্যয় চুড়ান্ত হতে পারে তাই তোমাকেই বলছি সাবধান।।
লেখকঃ মাসুম বিল্লাহ, সম্পাদক- সংগ্রহ বার্তা ও প্রেসিডেন্ট- এনএনসি, ২২ এপ্রিল ২০২১