বিশ্ব মিডিয়া সংবাদ প্রচারে একে অন্যের রেফারেন্স দিয়ে তথ্য সমৃদ্ধির পথে দাপটে এগিয়ে যায়। সব নদীর জল যখন সাগর থেকে মহাসাগরের সাথে একাকার হয়ে মহানন্দ উপভোগ করে। তখনও বাংলায় এক মিডিয়া আরেক মিডিয়ার নামোচ্চারণেও দ্বিধাদ্বন্দে ভোগে। বিশ্বায়নের যাত্রায় গোটাবিশ্ব যখন আন্তজালে (ইন্টারনেটে) সংযুক্ত। সে জাল ছিন্ন করে ভিন্ন পথে চলায় উৎসাহ পরিলক্ষিত হয় এদেশের মিডিয়ায়।
এপি, এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরার মতো মিডিয়া একে অন্যের সংবাদ সংগ্রহকে উদারচিত্তে গ্রহণ করে। গ্রহণযোগ্য তথ্য ও ছবিতে স্পষ্টভাবে সংগ্রহকারির নাম তুলে ধরতে কার্পণ্য করতে কেউ না দেখলেও বঙ্গোপসাগর কুলের ৫৫ হাজার মাইলের ক্ষুদ্র এদেশসীমায় তথ্যযুদ্ধাহত অবস্থা সবাই দেখে।
অগণিত নিউজ পোর্টাল, ৩ সহস্রাধিক সংবাদপত্র, প্রায় অর্ধশত টিভি চ্যানেল ও রেডিওতে কেউ কারো রেফারেন্স দিয়ে সংবাদ প্রচার করাতো দূরের কথা একে অন্যের একটি ছবি প্রকাশ করতেও দেখা যায়না। একে অন্যকে অচ্ছুত অস্পৃশ্য ভাবাপন্ন বাংলার মিডিয়ায় দেদারছে পেস্ট কপি চললেও একে অন্যের নামোচ্চারণে যত বিপত্তি।
এমন বৈরিতায় বেড়ে ওঠা সংবাদ মাধ্যমগুলো জাতীয় কল্যাণে কতটুকু কাজে আসছে? দেশ দর্পণ ও সমাজের আয়নায় আমাদের সমাজ কতবার নিজেকে দেখতে পাচ্ছে? বারবার দেখেও সে সমাজ কেনো তাকে কলঙ্কমুক্ত করতে পারছেনা? একেকটি মিডিয়া একেকটি সমাজের শুধু আয়নাই নয়; একেকটি প্রদীপ। যে প্রদীপের আলোয় আলোকিত হতে পারে জাতির সামনে চলার অন্ধকারচ্ছন্ন ও পঙ্কিল পথ। সংবাদ মাধ্যমের সম্মিলিত আলোয় আরো উজ্জ্বল হতে পারে বাংলার ভবিষ্যৎ।
-লেখক, মাসুম বিল্লাহ, সম্পাদক- সংগ্রহ বার্তা ও প্রেসিডেন্ট- এনএনসি