প্রশিক্ষণহীন সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ম্ফূর্ত অংশগ্রহণে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশটির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী! বিজ্ঞ (?) অধ্যাপকের তলাবিহীন ঝুড়িটি নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও দোর্দণ্ড প্রতাপে মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা ও সীমিত সম্পদেই ৭-৮ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিতে যা রীতিমতো ম্যাজিকের মতো। পৃথিবীর গড় জনঘনত্বের ২৪ গুণ বেশি জনঘনত্ব ও এত কম প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে দেশ ও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য চাই জ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার। এ কারণেই বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা অভিধারণাকে প্রযুক্তির নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখাচ্ছে এবং সেই স্বপ্নের স্রোতে গোটা জাতি অবগাহন করছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছে। সীমিত সম্পদের দেশে সম্পদের সুষম বণ্টন এবং তার অপটিমাল ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় জীবনের যেকোনো খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে, অপচয় কমাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মানুষ আদিমকাল থেকেই প্রযুক্তিমনা। এজন্যই তো ঔপনিবেশিক প্রভুদের বিমাতাসুলভ আচরণের মধ্যেও, গবেষণা করার সুযোগের অভাবের মধ্যেও মুন্সীগঞ্জের সন্তান ঋষিতুল্য জগদীশ চন্দ্র বসুই রেডিওর প্রকৃত আবিস্কর্তা, যদিও নোবেল পুরস্কার হাতিয়ে নিয়েছিলেন মার্কোনি। আঙুলের ছাপ দিয়ে ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন আরেক বাঙালি কাজী আজিজুল হক, তাও বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, যা এখন সব ধরনের পরিচিতি নিশ্চিতকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই ভূখণ্ডের অধিবাসীরা তাদের স্বকীয়তা, বিজ্ঞানের প্রতি প্রেম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষতায় নিজেদের বিশ্ব কাতারে দাঁড়া করিয়েছে। আকাশচুম্বী অট্টালিকার ডিজাইনেও ফরিদপুরের সন্তান ড. এফ আর খান স্থাপত্যবিদ্যার আইনস্টাইন।
কম্পিউটার কিংবা তথ্যপ্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা আঁচ করতেও এই দেশের মানুষ পিছিয়ে ছিল না। তাই সমগ্র পাকিস্তানের প্রথম কম্পিউটার পাকিস্তানে না গিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে আণবিক শক্তি কেন্দ্রে স্থাপিত হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। মাইক্রোপ্রসেসর ও মাইক্রোকম্পিউটারের বিপ্লব অনুধাবন করতেও আমরা পিছিয়ে ছিলাম না। কম্পিউটার বিজ্ঞানে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নের জন্য ১৯৮২ সালেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু হয়। এদিকে দেশের ব্যাংকগুলো কম্পিউটার ব্যবহার করে তাদের গণনার কাজ নির্ভুলভাবে দ্রুততম সময়ে করা শুরু করেছিল।
মাইক্রোকম্পিউটারের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটারের ব্যবহারের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটল, শুধু বিজ্ঞানী আর ধনী ব্যাংকগুলোই নয়, এখন সমাজের একটি বিশাল অংশের আয়ত্তে এসে গেল স্বল্পমূল্যের কম্পিউটার। তথ্যপ্রযুক্তির জুৎসই ব্যবহার থেকে দেশ ও জাতি যাতে উপকৃত হয় নানা নামে জাতীয় কম্পিউটার বোর্ড, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হলো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মতো সেকেলে নাম বাদ দিয়ে মন্ত্রণালয়ের নাম হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ প্রযুক্তির সবিশেষ গুরুত্ব বিবেচনা করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হলো। এদিকে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ববাজার থেকে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের লোভনীয় হিস্যা লাভে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরাও বৈদেশিক মুদ্রার বিশ্ববাজার থেকে হিস্যা আদায়ে আমাদের পরামর্শে তথ্যপ্রযুক্তির যন্ত্রাংশকে কর ও ভ্যাট মুক্ত করা হলো। শুরু হলো নানা উদ্যোগ- যেমন শহরের প্রাণকেন্দ্রে আইসিটি ইনকিউবেটর, সিলিকন ভ্যালিতে শেয়ারড অফিস স্থাপন, বিদেশের আইসিটি ফেস্টগুলোতে আমাদের প্রফেশনালদের অংশগ্রহণ, হাইটেক পার্ক স্থাপন, আইসিটি ইন্টার্নশিপ চালুকরণ, দোয়েল ল্যাপটপ, ইইএফ ফান্ড, এটুআই, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইসিটি টাস্কফোর্স, ই-গভর্ন্যান্সের প্রকল্প এবং আরও নানা উদ্যোগ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে আইসিটি সংশ্নিষ্ট বিভাগ খুলে শিক্ষাদান শুরু করল। এর মধ্যে আমাদের অতি উৎসাহকে পুঁজি করে এপটেক, এনআইআইটিসহ নানা বিদেশি আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দেশে জেঁকে বসল, যদিও পরবর্তী সময়ে এ ধরনের প্রশিক্ষণের ওপর ভরসা না থাকায় তারা তাদের কর্মতৎপরতা অব্যাহত রাখতে পারেনি। অতিদ্রুত কম্পিউটার সিস্টেমের প্রসারের আগ্রহকে পুঁজি করে বিদেশি নানা সফটওয়্যার সিস্টেম দেশে জেঁকে বসল। স্বভাবতই এর ফলে কম্পিউটারায়নকে কেন্দ্র করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতে থাকল এবং আমাদের দেশি কোম্পানিগুলো এই বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পেরে না ওঠার ফলে আমাদের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হলো। ফলে ভারত যেমন সফটওয়্যার রপ্তানি খাত থেকে বছরে প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ডলার আয় করছে, আমরা সাত গুণ ছোট দেশ হিসেবে যা আয় করার কথা তা যে শুধু করতে পারিনি তা নয়, বরং আমাদের দেশের বাজার বিদেশিদের অংশগ্রহণ করার ফলে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হলো।
বিগত দশকগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যদিও তাতে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। কিছু কিছু উদ্যোগের ফলে এই খাতে সাফল্যও আসছে। এখন কর অনলাইনে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, রেল-বাসের টিকিটও অনলাইনে কাটা যাচ্ছে। অধ্যাপক জাফর ইকবালের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনপত্র অনলাইনে কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করার ফলে ভর্তিচ্ছু ছাত্র কিংবা তাদের অভিভাবকদের আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। অনলাইন কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে কলেজে ভর্তির সকল প্রক্রিয়া কোনো যাতায়াত ছাড়া যে করা যাচ্ছে তাও কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির একটি বিরাট সাফল্য, যা সারাদেশের মানুষ উপভোগ করছে। ওয়ালটন কোম্পানি শুধু টিভি আর ফ্রিজই প্রস্তুত করছে না, তারা এখন ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপও বাজারে ছেড়েছে। দেশীয় শিল্পের বিকাশকে উৎসাহিত করার জন্য অবশ্যই তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির জুৎসই ব্যবহারের ফলে নানা ধরনের বিল, ফি সবই অনলাইনে করার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমেছে। এখন জমি-সংক্রান্ত দলিলাদি বের করা কিংবা সত্য প্রতিপাদনের মাধ্যমেও সংশ্নিষ্ট বিষয়ে জনদুর্ভোগ হ্রাস পাচ্ছে, আমাদের আদালত প্রাঙ্গণ কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে গতিশীল হচ্ছে। রূপালী ব্যাংক-শিওর ক্যাশের মাধ্যমে কোটি মায়ের মোবাইল অ্যাকাউন্টে সন্তানদের উপবৃত্তির টাকা ত্রুটিহীনভাবে পৌঁছে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সাধারণ মানুষের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে গর্বের মাত্রা অনেকগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন প্রয়োজন এই স্যাটেলাইট থেকে সম্পূর্ণ সুবিধা যাতে আমাদের দেশ কার্যকরভাবে উপভোগ করতে পারে। বিগত তিন দশকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক পরীক্ষণ করার ফলে ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-অভিভাবক দ্রুত পরিবর্তনশীল শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছিল না। তরুণ কিশোরদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা গড়ে তুলতে পারলে তাদের মধ্যে ব্যয়সাশ্রয়ীভাবে শিক্ষায় যে উৎকর্ষ তৈরি হয় তাতে মন্থন দেখা দিল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও সুস্থ প্রতিযোগিতার অভাবে স্পন্দনশীল হতে পারল না। উপরন্তু শিক্ষায় যথাযোগ্য বিনিয়োগের অভাবে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এবং শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের সাপেক্ষে অনেকটা পিছিয়ে পড়ল, যা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং তালিকায় আমাদের সাদামাটা অবস্থান থেকে অত্যন্ত পরিস্কার। যে দেশের একমাত্র উদ্বৃত্ত মানুষ, যাকে বিশ্বমানের জ্ঞান দক্ষতা দিয়ে মানবসম্পদে পরিণত করতে পারলে বিশ্বে আমরা ঈর্ষণীয় অবস্থানে পৌঁছতে পারব, সে খাতে আমরা এখনও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে পারিনি। আশা করি দেশের স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের সম্যক উপলব্ধি হবে। নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে প্রশংসনীয় উত্তরণ ঘটিয়েছে। তবে মধ্যম কিংবা উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরের জন্য যে উন্নতমানের শিক্ষা প্রয়োজন আশা করি শিক্ষায় যথাযথ বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের সেই উত্তরণ ঘটবে। শিক্ষায় সুস্থ প্রতিযোগিতার অভাব থাকার ফলে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা তা থেকে কিছুটা উত্তরণ হলো বিগত শতাব্দীর শেষ দশকে বিভিন্ন বিষয়ের অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের মতো কঠিন আসর থেকে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র স্বর্ণপদকটি জিতে আনল চট্টগ্রামের ছেলে জাওয়াদ আহমেদ চৌধুরী। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড- প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আমাদের ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে উপমহাদেশে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের অলিম্পিয়াড থেকেও বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা পদক পেয়ে চলেছে ধারাবাহিকভাবে- আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নানা দুর্বলতা রয়েছে তার মধ্যেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের কঠিন আসর থেকেও নিয়মিতভাবে সাফল্য অর্জন করছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহরিয়ার মঞ্জুর দীর্ঘদিন ধরে সেই মর্যাদাকর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সম্মানিত বিচারক। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্ররা আঞ্চলিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাগুলোতে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দীর্ঘদিন ধরে আছে। অতিসম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকতম সংযোজন ব্লক চেইন অলিম্পিয়াডে আমাদের ছাত্রদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের অতিমারির সময়ে আমরা প্রথমবারের মতো ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড আয়োজন করেছি। বাংলাদেশের তরুণেরা তাদের প্রথম অংশগ্রহণেই ছয়টির মধ্যে রানারআপসহ দুটি পুরস্কার পেয়েছে এবং বাংলাদেশের ১২টি দলই সম্মানসূচক উদ্ধৃতি পেয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, নবাগত বাংলাদেশের ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের অনুষ্ঠান আয়োজন, উৎসাহ এবং দক্ষতা দেখে প্রথমবারের মতো এই অলিম্পিয়াড হংকং শহরের বাইরে ২০২১ সালে বাংলাদেশে আয়োজিত হবে। টেকনোহ্যাভেন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুল্লাহ নেয়ামুল করিম এবং এই প্রযুক্তিতে উৎসাহী এবং বিশেষজ্ঞ সকলকে অভিনন্দন!
আমাদের সিটি করপোরেশন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, সরকারের নানা অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সঠিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পরিচালনা করা হয় তাহলেই তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে যাবে। তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা দেশবাসী কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
লেখক
অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়