গতকাল ৪ এপ্রিল রাত ৯টায় রাজধানীর অভিজাত একটি হলরুমে দেশে একটি সংবাদপত্রের সংগ্রহশালা (নিউজিয়াম) প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্কের আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব এম.এ লিঙ্কন মোল্লা। জাতির জনকের যোগ্য সন্তান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা এখন বিশ্বনেতাদের মুখে মুখে। আপনারা দেশে থেকে যতটা উপলব্ধি করেন; তারচে’ আমরা প্রবাসীরা অনেক বেশি উপলব্ধি করি বিদেশিদের কাছ থেকে সৌজন্যমূলক আচরণ দেখে। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশিরা যেভাবে লাঞ্চিত হতো; এখন আর আগের মতো অপমানিত হতে হয়না। বাংলাদেশ যত উন্নত হবে; আমরা রেমিটেন্সযোদ্ধা প্রবাসীরা বিশ্বের বিভিন্নদেশে আরো বেশি মর্যাদা পাবো আরো বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবো।
তিনি আরো বলেন- কোনোভাবেই যেন দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যহত না হয়; সেব্যপারে সংবাদ মাধ্যমকে আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসি যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে দেশে সকল সংবাদ মাধ্যমের সমন্বয়ে সংবাদের জাদুঘর নিউজিয়াম করতে যাচ্ছে; তা সফল হলে জাতীয় উন্নয়নের চাকা সচল রাখার কাজ আরো সহজ হবে। কেননা, জেলাভিত্তিক উন্নয়নের সংবাদচিত্রই বলে দিবে কোন জেলার জন্য কি পরিমাণ বাজেট বৃদ্ধি করা দরকার। গোটা দেশটাকে মোবাইলের স্ক্রীনে এক নজরে দেখা সম্ভব হবে নিউজিয়ামের মাধ্যমে।
সর্বশেষ ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ তারিখের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে নিবন্ধিত সংবাদপত্রের সংখ্যা ৩২১০ টি (অনলাইন গণমাধ্যম ব্যতীত) যার মধ্যে ১৩৫৭ টি ঢাকা থেকে এবং ১৮৫৩ টি অন্যান্য জেলা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। এতোগুলো সংবাদপত্র কারো কখনো এক জায়গায় এনে দেখার সুযোগ হয়নি। আর সেই সুযোগ করে দিতে এনএনসি যে উদ্যোগ নিয়েছে সেই মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন কেবল ১/২ জন উদ্যোক্তার দ্বারা সম্ভব নয়।
দেশের সংবাদপত্রের পাশাপাশি বিদেশী সংবাদপত্র প্রদর্শনীকে আরো গ্রহণযোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে এম.এ লিঙ্কন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ সকল প্রবাসীদের যার যার অবস্থানরত দেশের পুরান সংবাদপত্র এনএনসিকে পাঠিয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
সংগ্রহ বার্তার সম্পাদক ও জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসির প্রেসিডেন্ট মাসুম বিল্লাহ কৃতজ্ঞতার সাথে তার হাত থেকে বেশকিছু ডেনিশ ম্যাগাজিন গ্রহণ করেন। সেই সাথে ব্যক্তিগত কিছু উপহারও বিনয়ের গ্রহণ করে তিনি বলেন- যারা আমরা জননী জন্মভূমিতে আছি তারা মায়ের আবেগ অনুভূতির বিষয়ে মূল্যায়ন করিনা। অন্যদিকে প্রবাসী সন্তানের হাত থেকেই মা গ্রহণ করেন দামী শাড়ি চুরি আর তার প্রিয় প্রসাধনী। জাতীয় উন্নয়নের সংবাদচিত্র ও বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্র প্রদর্শনীর উদ্যোগের সাফল্যেও প্রবাসীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
-এনএনসি