নারী সাংবাদিকদের পক্ষে সর্বোচ্চ পদ সিনিয়র সহ সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি জয় পাইনি। তবে যা পেয়েছি তা কোটি টাকার চেয়েও দামী।
আমার নির্বাচন করাকে কেন্দ্র করে আমার কর্মস্থলের সবাই যে আন্তরিকতা, ভালোবাসা এবং আমার প্রতি তাদের হৃদয়ের টানের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছে তা ঋণী হয়ে থাকার মত। সর্বোচ্চ পদ থেকে একেবারে অফিস সহকারী পর্যন্ত সবাই যার যার জায়গা থেকে লড়াইয়ের মাঠে আমার পাশে সহযাত্রী হয়ে ছিল। এ পাওয়া কোটি ভোট পাওয়ার চেয়ে বেশি দামী।
এই ঢাকা শহরে পত্রিকা অফিস, টিভি চ্যানেল, অনলাইন পোর্টালের অভাব নেই। নির্বাচন করতে গিয়ে প্রায় ৮০% মিডিয়া হাউজে আমি গিয়েছি। সেখানে সমপেশার বন্ধুরা সীমাহীন আন্তরিকতা দেখিয়েছে। অনেক পুরনো সহকর্মীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমার উপস্থিতিতে তারা উচ্ছ্বসিত হয়েছে। অনেক কথা হয়েছে, আড্ডা-আনন্দ হয়েছে।
আমার ৮৫’র বন্ধুরা সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। খোঁজ নিয়েছে নিয়মিত, করণীয় বলেছে, তাদের মত করে ছায়া হয়ে পাশে রয়েছে।
আমার পরিবার অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। বাসায় রান্না হয়নি ঠিক মত। বাইরের খাবার এনে দিন পার করেছি বহুদিন। ওরা মেনে নিয়েছে। ছেলেটা অসুস্থ হয়েও আমাকে লড়াইয়ে যেতে আটকে দেয়নি। সারাটা দিন, অনেক রাত অব্দি একা রয়েছে বাসায়। তবু আমাকে বাধা দেয়নি এগিয়ে যেতে। এইসব ঋণ শোধ করার নয়।
সাংবাদিকদের জন্য আমার লড়াই, সংগ্রাম এবং সর্বশেষ নেতৃত্বের জায়গায় আসতে চাওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রায় সবাই স্বাগত জানিয়েছেন। আমি সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা মানেই জয় পরাজয়। আমি পরাজিত হয়েছি তা মনে করি না।
কাগজের চেয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান পাওয়া অনেক কঠিন। সেই কঠিন অর্জনে আমি সফল হয়েছি। এই কৃতজ্ঞতা স্বীকারের শেষ নেই আমার।
অনেকে কষ্ট পেয়েছেন, অনেকে ফোন করে, ম্যাসেজ পাঠিয়ে তাদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। আমাকে মন খারাপ করতে না করছেন। আমি বরং বলবো, কারো মন খারাপের কোনো কারণ নেই। আমি আপনাদের পাশে আগেও ছিলাম, এখনও আছি, আগামিতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।