মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় জেলার সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপসহকারী প্রকৌশলী জহির আহমদ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁকে বহনকারী প্রাইভেট কারের চালক মাসুদ রানা। বিস্তারিত
বিদায়ী বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬,৬৮৬ জন। সূত্র
আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি সড়কে মরণ। ঘর থেকে বের হতেই দোয়া দরুদ আর কলেমা পাঠ করে বের হতে হয়। আজ কোনো মা তার সন্তানকে আর কোলে ফিরে পাবেনা। এমন নিশ্চিত সড়কের মরণ প্রতিরোধে আমরা এনএনসি বারবারই উচ্চারণ করে আসছি যে, যাদের জীবনেরই মূল্য নেই; ফুটপাতে বড় হয়ে ওঠা নেশাখোড় হেলপার থেকে ড্রাইভার লাইসেন্সপ্রাপ্তদের হাতে দেশের অধিকাংশ গাড়ির স্ট্রীয়ারিং। আর অধিকাংশ দুর্নীতিবাজ অর্থ পিপাসুদের হাতে সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব। ফলে সড়ক বাংলাদেশের জনগণের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। আর এই অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে সৎ সাহসী ও মূল্যবোধ বুদ্ধি জ্ঞান সম্পন্ন লোকদের নিয়োজিত করতে হবে। কখনো তার শিশু সন্তানের জন্য দুধ আর মুমূর্ষ মায়ের জন্য ওষুধ নিয়েও পরিবহনে আরোহন করেন। যত লোক ততগুলো পরিবারের দায়িত্ব চালক মহোদয়ের ওপর নির্ভর করে। আর যার ওপর নির্ভর করছে সে নানান ধরণের নেশায় আসক্ত। সে নেশা কখন মাত্রাতিরিক্ত কিংবা নেশার জন্য পিনিক নিয়ে সড়কে গা ভাসিয়ে দিয়ে বসছে কে রাখছে তার ভিতরের খবর? সে কি নিজে একা মরছে নাকি তার গাড়িতে ৫২টি আসনগ্রহণকারি সবাইকে নিয়ে মরতে যাচ্ছে সে হিসাব করার সময় কৈ? এমন অনেক মূল্যবোধহীন ড্রাইভার নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আছেন এবং হচ্ছেন প্রতিদিন।
অন্যদিকে মোটা অংকের হিসাব চুকিয়ে আসা সার্জেন্ট আর টিআই থেকে শুরু করে সুউচ্চ পদাসীন অফিসার যার অর্থের হিসাবটা মিলাতে এতটা ব্যস্ত যে কোথায় কখন কিভাবে দুর্ঘটনা হয়; হচ্ছে? এনিয়ে ভাববার সময় নেই তাদের। যে দায়িত্বটুকুও ছিল তা তদন্ত কমিটি নিয়ে নেয়। মাঠ পর্যায়ে অর্থের বিনিময়ে পদে আসা অফিসাররা তাই এখন আরো ভাবনবিহীন নিরাপদে পয়সা কামাই করেই যান। আর এত সবাই সবার পদ ঠিক থাকলেও সড়কের মরণ এখন সাধারণ পরিসংখ্যানে পরিণত হয়েছে।
খবরের কাগজে নিত্যদিনই একই ধরণের খবর দেখি,
পেস্ট কপি করে সাংবাদিকরা; প্রয়োজন নেই লেখালেখি।
-সংবাদ বিশ্লেষক মাসুম বিল্লাহ