ঢাকার শাহজাহানপুরে রাস্তায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয় গত বৃহস্পতিবার। এই হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় শনিবার পাশের সবুজবাগ এলাকায় ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত গৃহবধূর নাম তানিয়া আক্তার (২৬)। তাঁর স্বামী মাইনুল হোসেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট। মাইনুল চাকরিসূত্রে ফরিদপুরে থাকেন। দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে সবুজবাগের বাসায় থাকতেন তানিয়া। বিকেল পাঁচটার দিকে সবুজবাগের দক্ষিণগাঁওয়ের মাস্টারবাড়ি এলাকার একটি চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় খুন হন তানিয়া আক্তার। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, তানিয়ার মেয়ের বয়স ৩ বছর, ছেলের বয়স ১০ মাস। বিকেলে এক বা দুজন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে মেয়েটির মুখে টেপ পেঁচিয়ে তানিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তানিয়ার মেয়ে বাইরে এসে কান্না করলে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বিস্তারিত
অর্থ আর ক্ষমতা নয়; জীবনের জন্য আদর্শ ও নৈতিকতা বেশি প্রয়োজন। এখনো যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় নিবেদিত বরেণ্য ব্যক্তিগণের বোধোদয় না হয়; তাহলে ১৬ কোটি জনসাধারণকে পাহারা দিতে আরো ১৬ কোটি পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। তা নাহলে সুউচ্চ অট্টালিকা খুনিদের আবাসস্থলে পরিণত হবে। সুরম্য সুপ্রশস্ত উড়াল পথে হত্যাকারিরা বিশ্বের দামি ব্রান্ডের গাড়িতে ঘুরে বেড়াবে। ১৬কোটি মানুষের নিজস্ব অর্থায়নে প্রাণের পদ্মা সেতু দিয়ে এপারের হত্যাকারি ওপারে আত্মগোপনে যাবে। ২৫ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত এই সেতুতে কোনো হত্যাকারি, ধর্ষক, নারী নির্যাতনকারি, ছিনতাইকারি, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাচালান কারবারী আর দুর্নীতিবাজ দেশদ্রোহী যাতে এই পবিত্র পদ্মা সেতুতে পা রাখতে না পারে; সেজন্য এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নতুবা দেশ ও জাতিকে রক্ষায় ১৬কোটি পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।
প্রত্যেক নাগরিককে সমান সুযোগভোগের নিশ্চয়তায় নিবেদিত রাষ্ট্রকে সুউচ্চ ভবনের জন্য যেমন দক্ষ প্রকৌশলী নিয়োগদান করতে হয়; তেমনি তার দেশের নাগরিকদের নৈতিক ও আদর্শগত দিক কতটা সুউচ্চস্তরে পৌঁছেছে তা বোঝার জন্য দক্ষ শিক্ষক নিয়োগে সচেতন হতে হয়। আদর্শ বিহীন ডিগ্রী গ্রহণ আর অর্থের বিচারে সম্মান প্রদান জাতির জন্য কাল হয়ে দাড়াবে বলে মন্তব্য করেন এনএনসির গবেষণা বিভাগ।