রাষ্ট্রের একক বা ক্ষুদ্রাংশ পরিবার। পারিবারিক বিশৃঙ্খল জাতি কখনো সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র পরিচালনার প্রত্যাশা করতে পারেনা। বিশ্বায়নের এই যুগে আপন ভূবনের পরিধি যতই ব্যপক হচ্ছে; ততই পারিবারিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। পশ্চিমাবিশ্ব অনেক আগেই পারিবারিক সীমাবদ্ধতা আর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বায়নের সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসছে। যার প্রতি আমাদের এসমাজের অনেকের শুধু সমর্থনই নয়; বড্ড আফসোস যে, কেনো তারা এমন উদারপন্থাবলম্বন করতে পারছেন না? কেনো সেই রঙিণ পাখনায় ভর করে বিশ্ব জয়ের মুকুট পরতে পারছেন না? আমাদের দেশ ও সমাজে কেনো সেই উদার নীতিতে অনাস্থা দিয়ে প্রচলিত প্রাচীন পন্থায় নিজেদেরকে আবদ্ধ করে রেখে চলছে? একবিংশ শতাব্দিতেও উদার ও উন্মুক্ত হতে বাঁধা আর সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে কষ্ট হয়। মোল্লা মৌলবিদের দ্বারা প্রভাবিত সমাজে রক্ষণশীল হয়ে পড়ে রয়েছে জাতি। কোনোভাবেই বের হয়ে আসতে পারছেনা ধরাবাঁধা নিয়ম শৃঙ্খলা থেকে।
রাজন ১ সন্তানের পিতা। স্ত্রী ও ১ সন্তানের ছোট্ট সংসারের সীমানায় নিজের মনটাকে আবদ্ধ রেখে সুদূর প্রবাসে থাকতে হয় রাজনকে। রাজনের প্রেরিত পয়সায় সানজিদা সাজিয়ে রাখে তার স্বপ্নের সংসার। ধরলাম ৩ সদস্যের পরিবারের কেউ কোনো ধর্মের ধারধারেনা। মোল্লা আর মৌলবিদের প্রভাবমুক্ত পরিবারটি আধুনিক আর বিশ্বায়নের সবসুবিধা নিয়ে বসবাস করছিল। কেন হঠাৎ সানজিদাকে আত্মহত্যার মতো চরম পরাজয় বরণ করে নিতে হলো? খবরের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা বিষয়টি নিয়ে এতো ভাবাভাবির সময় কোথায়? তবু দেখলাম মোবাইলের সিম নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাজন তার শিশুপুত্রকে নিয়ে গৃহত্যাগ করলে সানজিদা স্বামী সন্তানের বিচ্ছিন্নতা মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতে প্রাণ হারায়। সমাজচিন্তায় কোনো লাভ নেই জেনেও এলেখাটির ইতি টানতে চেষ্টা করলাম।
এতো এতো শিক্ষা আর উন্নয়নের শীর্ষে উঠে প্রাকৃতিক নিয়ম-শৃঙ্খলা থেকেতো বের হতে পারছিনা। সূর্যটি প্রাচীনকাল থেকে পূর্বে দিকেই ওঠে। আমাদের সুবিধার্থে একচুলও যে তাকে সারাতে পারছিনা। বাদ দিলাম সুবিশাল আকাশের অধরা নভোমন্ডলের জ্ঞান দান। নিজের শরীর স্বাস্থ্যের ওপর চাপানো কিছু নিয়ম কেন আর না মেনে পারছিনা? ক্ষুধাকে কেন আজও জয় করতে পারা গেলনা? আবার কিছু একটা খেলে ওয়াশরুমে যাওয়ার চাপ কেন সামলানো সম্ভব হচ্ছেনা কিছুতেই। বিচারালয়ে লালসালুর কেন্দ্রস্থলে আসন, জাতীয় সংসদ কিংবা জাতিসংঘের অধিবেশন ছেড়েও কখনো কখনো ওয়াস রুমে যেতে হয় কেন? নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণও করা গেলনা। সেখানেও কোনো পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। সেটা কি একটা নিষ্ঠুর নিয়ম মেনে নেয়া নয়? স্বাস্থ্য আর চিকিৎসার জ্ঞানদান বাদ।
উন্মুক্ত অসীম আকাশে পাখনা মেলে নির্বাধে নিয়ম শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো যে পাখিটি উড়ে বেড়ায়; সেও তার ছোট্ট বাসায় ফিরে আসে। তার স্নেহপরশে প্রজন্ম রক্ষা কাজে সহায়তা নেয় পুরুষ সঙ্গীর। স্ত্রী পাখিটির কলিজা ছিড়ে আসা ডিম তা দিতে পুরুষ পাখিটি সদা প্রস্তুত। এক সেকেন্ডের জন্য অনাগত ভবিষ্যতের স্বপ্নপূর্ণ গোল ডিমের ওপর থেকে বুকের উষ্ণতা সরিয়ে নেয়না। মা পাখিটি উড়ে গেলে পুরুষ পাখিটি দ্রুত এসে বুকের উষ্ণতায় ধরে রাখে তার ডিম। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়া অবধি দুটি প্রাণকে কে এই নিয়ম পালনে বাধ্য করল? ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পরে আবার লোমহীন মাংশল বাচ্চার মুখে নিয়মিত খাবার তুলে দিয়ে দিয়ে আপন ডানায় ভর দিয়ে আকাশ পানে উড়ে চলা অবধি উভয়ের মধ্যে অন্যকোনো পাখিকে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে দেখেছে কি কেউ?
অবশ্য গৃহ পালিত গরু ছাগলের পারিবারিক বন্ধনের দরকার হয়না। প্রাকৃতিক নিয়মে একদিন বকরী বা গাভীটি উচ্চস্বরে ডাকতে থাকে। গোয়ালা বুঝতে পেরে বলদের সন্ধানে ছুটে চলে। আঁশির দশকে আমরা দেখেছি কৃষি ক্ষেতে গাভীর পিছনে পিছনে বলদের দল ছুটে বেড়াতে। অন্যসব দুর্বল বলদের দল নিজেরা নিজেদের মধ্যে গুতাগুতি করে আহত হয়। আর শক্তিশালী বলদ সবাইকে তাড়িয়ে গাভীর পিঠে চড়ে বসার সুযোগ নিয়ে নেয়।
গাভী কোন জাতের গরুর বাচ্চা পেটে নিয়ে ফিরে এলো তার কোনো মাথা ব্যথা নেই। লাভের আশায় গোয়ালা গাভীর মাতৃকালীন মেয়াদে আরো যত্নশীল হয়। প্রায় ৩০০দিন পেটে যার বাচ্চাটি কলিজার রক্ত চুষে বড় হয়; তার আর খবর থাকেনা। যে বলদের বাচ্চা সে জানেনা তার কোন বাচ্চা কোন গাভীর পেটে। আর বাচ্চাটি জন্মের পরেও আর পিতৃ পরিচয়ের দাবি নিয়ে কোনো মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন কিংবা কোনো আদালতে মামলাও করেনা। বিশ্বায়নের এই সেরাযুগে এমন পিতৃপরিচয়হীন মানব বাচ্চাদের এখন আর অভাব নেই। একমাত্র মাতৃপরিচয়ে বড় হওয়া সন্তানের পুরোটাই কৃতীত্ব যে মায়ের। সে মায়ের উন্মুক্ত বিচরণ আর তার পিছু ছুটে চলা বলদের হিসেব কেউ কি রাখে? যাতে শক্তিশালী বলদের মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠিত হয়।
পশুর পাশবিকতায় পৃথিবীতে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় নাই আর হবেও না। পাখির প্রেমময় যুগল জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জীবন পরিচালনা করলে শুধু পারিবারিক বন্ধনই সুদৃঢ় হবেনা; বরং রাষ্ট্রীয় ভিত মজবুত হয়ে উঠবে। জাতীয় ঐক্যও হবে অনড়। সক্ষম হবে জাতীয় উন্নয়নের অশ্বকে অগ্রগামী ও বেগবান করতে।
অন্যথায় ১. মহিয়সী নারীরা বলদতুল্য পুরুষদের থেকে বাঁচতে অন্তরিন হয়ে থাকায় উৎসাহিত হবে। না হয়; ২. সানজিদার মতো জীবনের হিসাব মেলাতে না পেরে আত্মঘাতে পরাজয় বরণ করে নিবে অথবা ৩. বেপরোয়া স্বাধীনতায় মূল্যবোধহীন ভিনগ্রহের বাসিন্দা হয়ে যাবে।
লেখক, মাসুম বিল্লাহ, সম্পাদক- সংগ্রহ বার্তা, প্রেসিডেন্ট অফ এনএনসি
The breadth of globalization versus family constraints: the inhabitants of stupid alien
A single or small part of the state is family. A chaotic family can never expect an orderly state. In this age of globalization the scope of our world is getting wider; So much so that family relationships are being severed. The Western world has long since come out of family constraints and the narrowness of the marital relationship, exploiting all the opportunities for globalization. Which is not just the support of many in our society; Bad regrets, why they are not so liberal? Why can’t you wear the crown of world victory with those colorful fins? Why do our country and society continue to cling to the traditional way of life with distrust in that liberal policy? Even in the twenty-first century, it is difficult to be generous and open and accept limitations. The nation has become conservative in the society influenced by the Mullah Maulvis. There is no way out of the rigid rules and regulations.
Rajan is the father of 1 child. Rajan has to stay in exile, keeping his mind confined to the boundaries of his small family of wife and one child. Sanjida arranges her dream family with the money sent by Rajan. I assumed that none of the 3 members of the family had any religious affiliation. The family, free from the influence of mullahs and clerics, was living with all the conveniences of modernity and globalization. Why did Sanjida suddenly have to accept the ultimate defeat like suicide? Where is the time to think so much about the issue hidden behind the news? However, I saw that at one stage of the quarrel over the SIM of the mobile phone, when Rajan left home with his infant son, Sanjida could not accept the separation of her husband and child and committed suicide. Knowing that there is no benefit in social thought, I tried to put an end to this.
With so much education and development, I can’t get out of the natural order. The sun has been rising in the east since ancient times. For our convenience, not even a hair can cure him. I left out the knowledge of the elusive sky of the vast sky. Why can’t I follow some rules imposed on my body health? Why could not overcome hunger today? Why is it not possible to handle the pressure of going to the washroom after playing something? Why do you sometimes have to leave the seat in the center of the court, the National Assembly, or the UN session and go to the washroom? He could not control himself. There is also a situation to be a victim. Isn’t that a cruel rule to follow? Excluding health and medical knowledge.
In the open infinite sky, the wings are matched, the bird flies freely, regardless of the rules and regulations; He also returns to his small home. In his affection, the male companion takes help in saving the generation. The male bird is always ready to lay the eggs of the female bird. The warmth of the chest does not take away from the dreamy round egg of the future for one second. When the mother bird flies away, the male bird comes quickly and holds its eggs in the warmth of the chest. Who forced the two souls to follow this rule until the baby hatched from the egg? Has anyone seen any other bird play a mediating role between the two until the baby hatches from the egg and then flies into the sky with its wings fluttering its regular food in the mouth of the hairless fleshy baby?
Of course, domesticated cows and goats do not need family ties. Naturally, one day a goat or a cow starts calling loudly. The herdsman realizes and runs in search of the bulls. In the eighties, we saw herds of oxen running after cows in the fields. All the other weak bulls got injured by squatting among themselves. And the strong bull chased everyone away and took the opportunity to sit on the back of the cow.
The cow did not have any headache when it came back with the calf of any breed of cow. In the hope of profit, the cowherd becomes more caring during the maternal period. About 300 days in the womb whose baby grows by sucking the blood of the liver; He has no news. He does not know which calf’s calf is in the belly of which cow. And even after the birth of the child, he does not advertise in any media or sue in any court claiming the identity of the father. In this age of globalization, there is no shortage of such fatherless human children. The mother is the sole credit of the child who has grown up in the sole motherhood. Does anyone keep track of her mother’s open wandering and the bulls running after her? So that the evaluation of strong bulls is established.
Peace has never been and never will be established in the world by the brutality of animals. Not only sound education but his alertness and dedication too are most required. Rather, the foundation of the state will be strengthened. National unity will also be unwavering. Will be able to advance and accelerate the horse of national development.
Otherwise 1. Mahiyasi women will be encouraged to stay away from bull-like men. Is not; 2. Unable to reconcile life like Sanjidar will be defeated in suicide or 3. Reckless freedom will become the inhabitant of a valueless alien.
Author, Masum Billah, Editor-sangrahabarta.com, President of NNC