নিউজস্বাধীন বাংলা : ভাই দুবাই প্রবাসী। ভাইয়ের স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করেন। তবে, দেবরের কুদৃষ্টি ভাবির দিকে। দীর্ঘদিন ধরেই সে ভাবীকে কাছে পাবার বাসনা করে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। তাই বলে থেমে যায়নি দেবর। সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে ভাবির ঘরে ঢুকে পড়ে সে। চেষ্টা করে ধর্ষণের। আর অমনি ভাবী তার সম্ভ্রভ রক্ষা করতে দেবরের পুরুষাঙ্গ বেøড দিয়ে কেটে দেন।
৫ অক্টোবর দিবাগত আড়াইহাজার উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া বুরুমদীপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘপনায় পুরো উপজেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
দুবাই প্রবাসী তাজুল ইসলামের স্ত্রী জানিয়েছেন, মনির আমার দেবর। তাকে বারবার নিষেধ করলেও সে শুনেনি। প্রায় সময় আমাকে উত্যক্ত করতো। তার কাছে ডাকতো। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ছিলাম। তার ভয়ে সবসময়ই হাতের কাছে বেøড রাখতাম। সেদিন রাতে সে জোর করেই ঘরে ঢুকে। ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। তখন বাধ্য হয়ে আমি ওই কাজ করি।
সূত্র জানায়, পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় দেবর মনিরকে (৩০) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
মনির উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া বুরুমদীপাড়া গ্রামের সাদেকুর রহমানের ছেলে।
আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান জানান, লিঙ্গটি দেড় থেকে ২ সেন্টিমিটার পরিমাণ কাটা গেছে এবং প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। তাকে এ হাসপাতালে আনলে অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমরা ঢাকায় প্রেরণ করি।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। লোকমুখে শুনছি। কিন্তু কেউ একনও অভিযোগ করেনি। ঘটনার সত্যতাও সেভাবে পাচ্ছি না।