নিউজস্বাধীন বাংলা : নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দাপুটে ইন্সপেক্টর ছিলেন এনামুল হক। তিনি অত্যন্ত দাপটের সাথেই চালিয়েছেন বহু অভিযান। এসব অভিযান চালাতে গিয়ে সৃষ্টি করেছেন বেশ কিছু বিতর্ক। তবে, শেষতক নানা বিতর্কে বিতর্কিত এই ইন্সপেক্টরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ইন্সপেক্টও এনামুল হককে এই তাৎক্ষণিক বদলী করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তাকে শিল্প পুলিশের ঢাকা হেড কোয়াটারে পাঠানো হয়েছে। তবে, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর ব্যাপারে তদন্তের দাবি উঠেছে। তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করারও কথা বলছেন কেউ কেউ।
সূত্র জানায়, এনামুল হক ডিবি অফিসে বসেই সামারি করতেন। সেও আবার প্রকাশ্যেই। এরমধ্যে সব থেকে বড় দুটি বিতর্কের জন্ম তিনি দিয়েছিলেন। একটি সাইনবোর্ড এলাকার জমি দখল অন্যটি এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফ্ল্যাট লিখে নেওয়ার চাপ প্রয়োগ।
সূত্র থেকে জানা গেছে, এক ব্যবসায়ীর একটি মামলার তদন্তে ছিলেন ডিবির ইন্সপেক্টর এনামুল হক। সেই মামলার তদন্তটি ব্যবসায়ীর পক্ষেই তিনি করে দিয়েছেন। এর বিনিময়ে ওই ব্যবসায়ীর ঢাকার নাইটঅ্যাঙ্গেলের পাশে একটি ফ্ল্যাট ছিলো সেটি এনামুল তার স্ত্রীর নামে লিখে দিতে ব্যবসায়ীকে চাপ দেন। আর সেটি করেন তিনি ডিবি অফিসে অন্যান্য আরও অনেক অফিসারের সামনে প্রকাশ্যেই।
অপর অভিযোগ সম্পর্কে জানা গেছে, সাইনবোর্ড এলাকায় একটি বিরোধপূর্ণ জমি দখল করে দেওয়ার ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন এনামুল হক। বিনিময়ে তিনি নিয়েছিলেন মোটা অঙ্কোর ঘুষ। সূত্রের দাবি, এসব বিষয়গুলো তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে এর সত্যতা।
এছাড়াও নিয়মিত গ্রেফতার বাণিজ্যও ছিলো তার টিমের অন্যতম একটি কাজ। নানা ভাবেই তার দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। মূলত এসব অভিযোগসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছিলো গত দুদিন ধরে। সেসব সূত্র ধরেই ইন্সপেক্টর এনামুল হককে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
তবে, এভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ মানেই তার বিচার নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। এ বিষয় নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন অনেকেই। তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষেও মত দিয়েছেন কেউ কেউ।