নিজস্ব সংবাদদাতা:নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অদক্ষ কর্মী দিয়ে কম্পিউটার এন্ট্রিসহ পাসপোর্ট তৈরির নানা ধরণের কাজ করানো হচ্ছে। অদক্ষ কর্মীদের কারণে গ্রাহকরা নানাবিধ দুর্ভোগে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব অদক্ষ কর্মীদের জন্য প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হয়ে সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজনকে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পাসপোর্ট অফিসে কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রি করার জন্য যে সব কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগই গ্রাহকের তথ্য কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করার সময় অদক্ষ হওয়ায় প্রায়ই ভুল করে আসছে। এভাবে ভুল ডাটা এন্ট্রির কারণে পরে পাসপোর্টটি বাতিল করে নতুন করে টাকা জমা দিয়ে পাসপোর্ট করতে হচ্ছে ভূক্তভোগীদের। কখনও কখনও গ্রাহকরা তাদের ভুল ধরিয়ে দিলেও বানান সংশোধনের নামে ফাইল দিনের পর দিন ফেলে রাখে। যার কারণে জরুরী পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকরা আর দ্রæত পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছে না। এতে গুণতেও হয় উল্টো জরিমানা।
অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নতুন কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান আসার পর থেকে পাসপোর্ট কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছেন। পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকরা দুর্ভোগে পড়ছেন প্রতিনিয়ত। স¤প্রতি পাসপোর্ট করতে আসা সুজন নামের এক গ্রাহক জানান, তিনি গত সপ্তাহে জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে যান। ছবি তোলার পর তার পাসপোর্ট ডেলিভারি শ্লিপ¬ হাতে পেয়ে বাবার নামের ভুল দেখতে পান। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে তাদের জানান। উপ-পরিচালককেও বিষয়টি জানান তিনি। কিন্তু এটি সংশোধনের কোন উদ্যোগ না নিয়ে শুধু লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে এক সপ্তাহ ফেলে রাখেন। ক্ষোভের সঙ্গে ওই ভূক্তভোগী জানান, আমি জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করে কি সুফল পেলাম? আরেক ভুক্তভোগী জানান, আমি পাসপোর্ট করতে দিয়েছি ১ মাস হলো। ডেলিভারি তারিখ পার হয়ে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু এখনো পাসপোর্ট হাতে পাইনি। এখন বলছে পাসপোর্ট প্রিন্টে আছে, পরে যোগাযোগ করবেন। পাসপোর্ট করতে আসা আরেক ভুক্তভোগীরা জানান, বর্তমান উপ-পরিচালকের আসলে দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। তিনি যোগদানের পর থেকেই ডাটা এন্ট্রিতে খামখেয়ালি হচ্ছে। তাদের ভুলের জন্য আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।
বিষয়টি ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আনুরোধ জানান। এদিকে ইদানিং এ অফিসে দালালদের দৌরাত্ব বেড়েছে বলে জানিয়েছন কয়েকজন ভুক্তভোক্তী। ইতিপূর্বে কয়েকজন দালালকে র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি আলেপ উদ্দিনের নের্তৃত্বে র্যাব-১১ এর একটি টিম গ্রেফতার করার পর দালালদের দৌরাত্ব স্তিমিত হয়ে পড়ে। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত থেকে দালালদের দৌরাত্ব আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসানের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।