নিউজস্বাধীন বাংলা : সকল ধর্মের মানুষের এই বাংলাদেশ। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে ভাবতে পারেন, আপনারা এদেশে দুর্বল। এটা কখনো ভাববেন না। কেননা, এই দেশ সব ধর্মের মানুষের।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সভাকক্ষে জেলার ২শ ৬টি মন্দিরে অনুদান চেক বিতরণকালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওই কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর প্রায় ৯৮ মন্দিরকে প্রদাণ করা হয়। বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁ মন্দিরগুলো মাঝে দেয়া হবে।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, দুর্গোৎসবে আপনাদের পাশে জেলা পরিষদ আছে, থাকবে। ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে দূর্গোৎসবে পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভা করে দ‚র্গোৎসবে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কীভাবে সম্পাদন করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আপনাদের মন্দির মন্ডপের প‚জা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের সাথে যোগাযোগ করছে। কেন্দ্রীয় কমিটির নিদের্শনা অনুযায়ী আসছে প‚জা উদযাপনে পাশে আছি, থাকবো। যে কোনো সমস্যায় আমরা থাকবো, সকল ধর্মের মানুষ নিয়ে এই দেশ।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে সকলে একত্রে কাজ করেছে। সেখানে তখন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ খৃস্টান ভেদাভেদ করা হয়নি। সকলের মিলে বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলো। বর্তমানে দেশের ক্রান্তি লগ্নে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলে একত্রে কাজ করে যেতে হবে। তিনি যেন জীবনের শেষ প্রান্তে যেন মানুষ কাজ করে যেতে পারে। আমাদের সবাই মানুষে পাশে দাঁড়াতে হবে, অমানুষ সমাজে টিকতে পারে না। চেক ছাড়া জেলা পরিষদ থেকে কোনো টাকা দিতে পারবে না।
প‚জা মন্ডপের কমিটির উদ্দেশ্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, জেলা পরিষদের এই ক্ষুদ্র প্রচেস্টাকে সম্মতি দিয়ে আপনারা গ্রহণ করছেন, তা ভালো লাগছে। আগে ২ হাজার দিত, আমি এসে ৩ হাজার করি, এবার আপনাদের ৪ হাজার টাকা দেয়া হলো। আগামিতে চেস্টা করবো আরেকটু বৃদ্ধি করার।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত পাল বলেন, সাধ আছে কিন্তু আমাদের সাধ্য নাই। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেলে অনুদান বৃদ্ধি করা হবে। ধর্ম নিরপেক্ষ এই সরকার, হিন্দু হয়েছেন বলে সংখ্যালঘু ভাববেন না। আমরা মন্দির মসজিদেও অনুদান দিয়ে থাকি। জেলায় অনেক স্থানে মন্দির সংস্কার চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, হাজী মো. আলাউদ্দিন, জেলা সেক্রেটারি শিখন সরকার ও মহানগরের সেক্রেটারি প্রমূখ।