বিশেষ প্রতনিধি: ফতুল্লায় সৈয়দ মো: মুন্না (৩৫) নামে থানা ছাত্রলীগের এক নেতাকে এলাপাতারীভাবে কুপিয়ে যখম ও এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় ফতুল্লার থানার বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে।
মুন্না ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মেরাজ হোসেনের ছেলে। দাপা এলাকায় তারা বসবাস করছেন। মুন্না ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং এলাকায় গার্মেন্টসের ওয়েস্টেজ ব্যবসায়ী।
আহত মুন্নার ভাই শাওন এ ব্যাপারে জানান, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত স্থানীয় সন্ত্রাসী সাইফুল ও রকিবের সাথে মুন্নার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোমবার সন্ধার পর পোস্ট অফিস রোডের বটতলা এলাকায় তার উপর অতর্কিত হামলা করে সাইফুল ও রকিসহ আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী।
এ সময় সন্ত্রাসীরা মুন্নাকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে তার শরীরে ও মুখে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়। এ অবস্থায় মুন্নার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাময়িক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে পরে পরিবারের স্বজনরা মুন্নাকে হাসপাতলের এম্বুলেন্সে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চাপাতির আঘাতে মুনার ডান কাধের একটি রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা এবং মুখে এসডি নিক্ষেপ করে। স্থানীয়রা জানায় যেভাবে কুপিয়েছে বাচার কথা নয়।
সুত্রে জানাযায় মুন্নার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ডাক্তার বলছে বাঁচার আশংখা কম। এ ঘটনার পর পরিবারের সবাই ঢাকা মেডিকেলে অবস্থান করছেন । এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়ার সুযোগ হয়নি। তবে আজ মঙ্গলবার পরিবারের পক্ষ হতে থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। পুলিশ খবর পেয়ে ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতলে আসলে ততক্ষনে মুন্নাকে নিয়ে এম্বুলেন্স ঢাকা মেডিকেল মুখি হয়।