নিউজস্বাধীন বাংলা : বন্দর উপজেলার ডিংজং চায়না ব্যাটারি কম্পানিতে অভিযান চালিয়েছে কাষ্টম গোয়েন্দা বিভাগের টিম। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার ল²ণখোলার দাসের গাঁও এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ল²নখোলা এলাকার শাহীন মিয়ার কাছ থেকে তার বাড়ির চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে অনেক দিন যাবৎ বসবাস করছিলো চায়না নাগরিকরা। কিন্তু ওই ৪ তলা ফ্ল্যাট বাড়ির ভিতরে কি হতো কেউ বলতে পারতো না। কারন, সব সময় চায়নারা সিকিউরিটি বসিয়ে রাখতো সেখানে। যারফলে কেউ অনুমতি ছাড়া ভিতরে প্রবেশ করতে পারতো না।
এ বিষয়ে ওই বাসার বাড়িওয়ালা শাহীন মিয়া জানান, আমার বাড়ি আমি ভাড়া দিয়েছি। আমার মাও যদি এই বাড়ির গেটে প্রবেশ করতে চাইতো, তাকেও ঢুকতে দিতোনা চায়না কর্মীরা।
চায়না ব্যাটারির বিষয়ে আরও জানা যায়, মাঝে মধ্যে রাতে এখানে চায়নারা মেয়েদের নিয়ে আসতো এবং সকালে মেয়েদের বের করে দিতে দেখা যেতো। কিন্তু ভিতরে কি হতো, তা কেউ বলতে পারতো না।
এ বিষয়ে চায়না ব্যাটারি কম্পানির এডমিন অফিসার আফজাল হোসেনের কাছ থেকে জানাতে চাইলে তিনি জানান, ক্যাসিনো কি তা তো জানিনা। মনে করতাম এটা তাদের দেশের খেলা, এর বেশি কিছু আমি জানি না।
এদিকে অভিযানের কথা স্বীকার করে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ টুডে’কে জানান, ল²নখোলা ডিংজং চায়না ব্যাটারি কোম্পানিতে কাস্টমস গোয়েন্দা অভিযান চালিয়েছে। সেখান থেকে মাজন ফোট (ক্যারাম বোর্ডের মত) খেলনা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব দিয়ে তারা জুয়া খেলতো। ক্যাসিনো না হলেও সেগুলো জুয়াই।
‘অভিযানে কাউকে আটক করা হয়েছে কি না?’ এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আমরা তাদেরকে (কাস্টমস গোয়েন্দা) জিজ্ঞেস করেছিলাম, তারা এ বিষয়ে কিছু জানায় নি। এখনো উদ্ধারকৃত জিনিসপত্র আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হলে পরে সব জানাতে পারবো।
অপরদিকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ক্যাসিনো জাতীয় কিছু সরঞ্জাম জব্দ করাসহ একজন চায়না নাগরিককে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। তবে, এ খেলাটা পুরোপুরি ক্যাসিনো ছিলো না। আর এগুলো তারা নিজেরা নিজেরাই খেলতো।