নিউজস্বাধীন বাংলা: নগরীর চাষাড়ায় কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মিলি (২৭) নামে এক সন্তানের জননীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩০সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে ভাংচুর করে। নিহত মিলি পশ্চিম লামাপাড়া শাহ আলমের স্ত্রী। নিহতের স্বামী শাহ আলম জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার স্ত্রী হঠাৎমাথা ব্যাথা উঠে। পরে পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডা. জাহেদ আলীকে দেখালে তিনি ব্রেনষ্টেক করেছে বলে জানান। সেই সাথে রোগীকে চাষাড়া কেয়ার জেনারেলহাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেন। ঐ দিন রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় মিলিকে কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পরদিন সকালে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে তার স্বামী ও অন্যান্য স্বজনরা অন্যত্র নিয়ে যেতে চান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে নিতে দেয়নি। পরে দুপুর দেড়টার দিকে রোগীটি মারা গেলে স্বজনদের কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশটি এম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যেতে চায়। এ সময় স্বজনরা দেখে ফেলায় সেটা আর করতে পারেনি। এসময় উত্তেজিত স্বজনরা হাসপাাতালে ভাংচুর চালায়।
শাহ আলম আরও জানায়, তার স্ত্রীর লাশ গুম করার জন্যই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই কাজ করেছে। রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাঃ জাহেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে পরবর্তীতে কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের মালিক বিকেএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি জিএম ফারুকের সাথে একটি আপোষের চুক্তি হয়। স্ত্রীকে হারিয়ে স্বামী শাহ আলম কেয়ারের মালিক জিএম ফারুকের পা ধরে অপরাধীদের বিচারের দাবীতে কান্না করলেও তাতে মন গলেনি জিএম ফারুকের। সেখানে উপস্থিত সংবাদকর্মীদেরকে দোতলায় একটি রুমে প্রবেশ করতে না দিয়ে ৩ লাখ টাকায় রফাদফা করেন জিএম ফারুক। যদি স্বামী শাহ আলমের সাথে থাকা স্বজনদের দাবী ছিলো ৪ লাখ টাকা। এসময় উক্ত রুমে চাষাড়া ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মিজান সহ বিশেষ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।