বিশেষ প্রতিনিধি: প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত ১৯৮৬ সালে জাপানের সহযোগিতায় গড়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতাল। এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর হতে রুগীর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমান হওয়ায় ডাক্তাররা রোগী দেখতে হিমশিম খেত এমনটি জানাযায়। সুনামের সহিত এই হাসপাতালটি দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে আসছে রোগীদের বর্তমানে সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেই সাথে কর্মরত ষ্টাফ কম থাকায় বিপাকে পরেছেন ডাক্তাররা আর ভুক্তভোগী হচ্ছেন আগত রোগী সাধারণ।
সুত্রে জানাযায় ডাক্তাররা রুগী দেখছেন কিন্তু কর্মরত ওয়ার্ড বয় সংকট হওয়ায় রুগী দেখতে চরম হিমসিম খাচ্ছে। সাধারণত প্রতিটি আউটডোরে একজন ওয়ার্ড বয় থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে সটেজ থাকায় সিরিয়াল ছারা রুগী ডাক্তার কক্ষে প্রবেশ করছে এতে ডাক্তাররা সুষ্ঠভাবে রগী দেখতে সক্ষম হচ্ছেন না বলে বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে। আরো জানা যায় ৩০০ শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালে যে সংখ্যক কর্মরত ষ্টাফ থাকা প্রয়োজন তা বর্তমানে নেই, বেশ কিছু ষ্ঠাফ অবসরে চলে গেছেন কেউ বদলী হয়েছেন আগামীতে আরো বেশ কিছু অবসরে যাবেন এমন তথ্যও জানাযায়। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭টি থানা হতে এই হাসপাতালটিতে রুগীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। থানা গুলোতে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থাকা সত্বেও গ্রামের মানুষ গুলোর চিন্তা চেতনা জেলা হাসপাতালে বড় ডাক্তার বসে সেখানে আরও ভাল চিকিৎসা ও সেবা পাওয়া যাবে এমন মনোভাবে প্রতিদিন অনেক রুগীই জেলার ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভির জমায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ষ্টাফ জানায় হাসপাতালে ভাল ডাক্তার আছে কিন্তু রোগীদের সঠিক চিকিৎসা সেবা দিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়না শুধুমাত্র ষ্টাফ সটেজ থাকায়। একজন ডাক্তারকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ জন রোগী দেখতে হয়, আর শৃঙ্খলা বজায় থাকলে ডাক্তাররা স্বাচ্ছন্দে রোগী গুলোকে দেখতে সক্ষম হয়। পর্যাপ্ত কিèনার না থাকায় অনেক সময় দেখা যায় ফ্লোর গুলোতে ময়লা জমে আছে যা সঠিক সময়ে পরিস্কার করা হচ্ছেনা। ওয়ার্ড গুলোতে ব্যবহারকৃত ডাষ্টবিন যথাসময়ে পরিস্কার হচ্ছেনা,ওয়াস রুমগুলো যথাসময়ে পরিস্কার হয়না এতে রুগী সাধারণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের একটি অংঙ্গ এবং ডাক্তারাও রুগীদের এডভাইজ করে থাকেন পরিস্কার পরিচ্ছন থাকতে হবে তাহলে রোগ বালাই থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন, সেখানে হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভুক্তভোগী আগত রোগী সাধারণদের মাঝে। একটি সরকারী হাসপাতালের সেবার মান কমতে থাকলে পরবর্তিতে দেখা যাবে রোগীর সংখ্যায় কমে আসছে এর জন্য দায়ী কে? ভুক্তভোগী রোগীদের দাবি সেবার মান নিশ্চিত করতে অতিদ্রæত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে কতৃপক্ষ।