নিউজস্বাধীন বাংলা : জিকে শামীম। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্তান হলেও ঢাকার ঠিকাদার তিনি। অনেকের কাছে তিনি শীর্ষ ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। যেখানে যান সেখানেই তার নিরাপত্তার জন্য থাকে ৭ জন দেহরক্ষী। অঢেল ধনসম্পদ গড়েছেন টেন্ডারবাজি, জুয়া, মাদকের কারবারে। নিজেতে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে থাকেন সে। এর পূর্বে তিনি ছিলেন যুবদল নেতা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই তার ঢাকার নিকেতনের বাড়ি ঘিরে রেখেছিলো র্যাব। দুপুরের দিকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান জিকেবি বিল্ডার্সে।
অভিযান শেষে শামীমের নিকেতনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, অভিযান ১ কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পেয়েছি। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। এ ছাড়া তার কাছ থেকে মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে। এগুলোর লাইসেন্সের সত্যতা আমরা যাচাই করব। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আটজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছি।
জিকে শামীম সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।
এদিকে জিকে শামীম আটক হওয়ার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের একজন শীর্ষ ঠিকাদেরর নাম সবার মুখে মুখেই ফিরছে। বলা হচ্ছে, জিকে শামীমের পার্টনার হিসেবে নারায়ণগঞ্জের ওই শীর্ষ ঠিকাদারও রয়েছে। বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের দুজনের। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, জিকে শামীমের সকল অপকর্মে সাথে এখানকার এই ঠিকাদারও সম্পৃক্ত রয়েছে। যে কোনো সময় তিনিও ফেঁসে যেতে পারেন।
সূত্র বলছে, ঠিকাদার জিকে শামীম আর নারায়ণগঞ্জে শীর্ষ ঠিকাদারের মধ্যে রয়েছে কাকতালীয় ভাবে চমৎকার মিল। দুজনেই জিরো থেকে উঠে এসে এসব অপকর্ম করে গড়েছেন টাকার পাহাড়। পাশাপাশি উপজেলাতেই তাদের বসবাস।