নিউজস্বাধীন বাংলা : নাঃগঞ্জ শহরের আলোচিত কিশোর গ্যাং এর প্রধান তুহিন ওরফে চাপাতি তুহিন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় র্যাব-১১ এর সাথে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে র্যাব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। নিহত তুহিন শহরের দেওভোগ শান্তিনগর এলাকার কাওসার হোসেনের ছেলে। এছাড়াও সে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তসিলম হোসেনের শেল্টারেই এলাকা দাপিয়ে বেড়াতো বলে কথিত রয়েছে।
এদিকে র্যাব দাবি করেছে, তুহিন ওরফে চাপাতি তুহিন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব-১১ এর সহকারি পুলিশ সুপার মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে তুহিনকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে র্যাব ভোর রাতে শহরের সৈয়দপুর এলাকায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার যায়।
এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তুহিনের সহযোগিরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে তুহিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, নিহত তুহিন এলাকায় কোথাও তুহিন বন্ড, আবার কোথাও চাপাতি তুহিন নামে পরিচিত ছিল। সে ছিল একজন দ‚র্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত চারটি মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেওভোগের হাসেমবাগে শাকিল হত্যার মামলার প্রধান আসামী তুহিন। গত ২৭ জুলাই শনিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাকিল নামে নিরিহ ওই যুবককে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী তুহিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ওই ঘটনায় আরও ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
ওই ঘটনায় তুহিনকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করে নিহত শাকিলের বড় ভাই সাঈদ হোসেন।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাতে দেওভোগ মাদরাসা এলাকায় আলমগীরকেও কুপিয়ে হত্যা করে ওই কিশোর গ্যাং তুহিন বাহিনী। নিহত আলমগীর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার দশলং এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ছিলো। সে দেওভোগ মাদরাসা এলাকার নুরু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
এছাড়াও ওই কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের হাতে দেওভোগ নাগবাড়িতে নির্মমভাবে খুন হয় হৃদয় হোসেন বাবু নামে আরও এক যুবক। এই বাহিনীর প্রধান শেল্টারদাতা হিসেবে এলাকাবাসীর মুখে মুখে তসিলিম হোসেন নামে এক ব্যক্তির নাম শোনা যায়। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী কর্মকাÐের অভিযোগ রয়েছে।