নিউজস্বাধীন বাংলা : সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, লেখা-পড়ার পাশাপাশি আমাদের ছেলে-মেয়েরকে খেলাধূলাতেও থাকতে হবে। তাই এই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌর ওসমানী স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ (বালক) ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, গ্রামগঞ্জের অনেকে মেধাবীরা যারা সুযোগ পায় না। তাদেরকে এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে খুঁজে বের করা একটি উদ্দেশ্য। আগে এই দেশকে অনেকেই চিনত না। এখন ক্রিকেটের জন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশই চিনে। শ্রদ্ধার সাথে দেখে এই বাংলাদেশকে। এভাবে একদিন আমরা ফুটবলেও দাঁড়াবো। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, খেলাধূলা মানুষকে সুন্দর রাখে। কলেজে যখন পড়তাম রাজনীতির পাশাপাশি এই খেলাধূলা দিয়েই আমার শুরু হয়েছে। আমি যখন টেবিল টেনিসে, ব্যাডম্যান্টেন চ্যাম্পিয়ন হলাম তখন অনেকেই প্রশ্ন করছিলেন, এই লম্বুটা কে? তখন আমাকে কেউ চিনত না। আমি যে সামসুজ্জোহা সাহেবের ছেলে সেটা বলা নিষেধ ছিলো।
শামীম ওসমান বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই অনুষ্ঠানটা সাজানো হয়েছে। তারপরও এই অনুষ্ঠানটাতে খুবই রুচির প্রমাণ পাওয়া গেছে। সরকারি কর্মকর্তা যদি রুচিবান হয়, দেশপ্রেমিক যদি হন তাহলে এতোটা জমজমাট একটা অনুষ্ঠান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আজকে যারা এখানে খেলবে, তাদের খেলা দেখে যদি আপনারা হাত তালি দেন। তাহলে তারা উৎসাহিত হবে। এই উৎসাহই তাদেরকে একদিন জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ক্রিকেটের মতো তারাও দেশকে মাথা তুলে দাঁড় করাবে।
সাংসদ শামীম ওসমান জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন। এবং ক্ষুদে খেলোয়াড়দের সাথে মাঠে গিয়ে পরিচয় হন। পরে উদ্বোধনী বক্তব্যে খেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে মাঠে সংগীত পরিবেশ করেন সংগীত শিল্পি রনি ও বাবু চন্দন শীল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল, কৃষক লীগ নেতা ইব্রাহিম চেঙ্গিস, মহানগর আওয়ামীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল, বক্তাবলীর চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েত নগরের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লার ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, কুতুবপুর ইউনিয়ন মনিরুল আলম সেন্টু প্রমূখ।