নিউজস্বাধীন বাংলা : ‘মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, এরা যে দলেরই হোক তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ইভটিজারদের কোনো দল নেই। আমাদের মন্ত্রী-এমপিরাও এ ব্যাপারে সাহায্য করছেন। তারাও চায় কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী থাতবে না। এরপরও এসব কারা চায়, সে তথ্য আমাদের দিন, আমরা অ্যাকশনে যাবো।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপাড়ে সদর মডেল থানার ‘ওপেন হাউজ ডে’তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের সর্বস্থানেই ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এই আলীরটেক ইউনিয়নের নাম আগে শুনেছি। এখানে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। দেখে ভালোই লাগছে। আমি হাওড় অঞ্চলের মানুষ। আমাকে ১২ মাসই নৌকা করে সেখানে যেতে হয়। সে তুলনায় এই অঞ্চল যথেষ্ট উন্নতি। হারুন অর রশীদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ কী চায়? এখানে যে উন্নয়ণের ছোঁয়া লেগেছে। তা অভাবনীয়। তারপরও এখানে কিছু সমস্যা রয়েছে। আপনারা হয়তো বলবেন, নদীর এপাড়ে থাকার কারণে সহজে আপনারা পুলিশের কাছে পৌঁছাতে পারেন না। আপনারা মাদকের কথা বলেছেন, সন্ত্রাস ইভটিজিংয়ের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এসব হয়তো প্রভাবশালীরা করছে। ভয়ে আপনারা মুখ খুলতে পারছেন না। তাই আপনাদের অভয় দিতে এসেছি। ভয় পাবেন না। কারা এসব করে সে তথ্যটুকু আমাদের দেন। পুলিশের ফোন চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকে। আপনাদের নাম প্রকাশ হবে না। সরাসরি আপনারা চলে আসবেন। এটা আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ রইলো।
এসপি বলেন, ইভটিজিং যারা করে তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক ব্যবসা যারা করে যারা শেল্টার দেয় তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাস চাঁদাবাজ কাউকেই ছাড় দেব না। এরা কোনো দলের হয় না। এরা কেবলই অপরাধী। সুতরাং এরা যে দলের হোক কোনো ছাড় নেই।
তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। হাওড় অঞ্চলের রাস্তাও পাকা হচ্ছে। তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে, আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের হাতে খাতা-কলম না দিয়ে ইয়াবা ধরিয়ে দিচ্ছে। কিছু মানুষ আছে আলালের ঘরের দুলাল সেজে ভূমিদস্যুতা করছে। মাদক ব্যবসা করছে। তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অ্যাকশন চলবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা, পরিদর্শক (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) সাজ্জাদ রোমন, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান প্রমূখ।