নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া এলাকায় রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছে একটি মহল। যার পেছনে রয়েছে একটি চিহ্নিত চাঁদাবাজ চক্রের ছত্র ছায়া। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু ব্যক্তির সাথে হাত মিলিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চাঁদাবাজ চক্র। সরকার দলীয় কিছু ভূইঁফোর নেতার নামও পাওয়া যায় অনুসন্ধানে এই ফুটপাত দখল করে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চাঁদা আদায়ের পেছনে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন এই চাঁদাবাজদের সাথে মহরম দহরম সর্ম্পকের মাধ্যমে ভাগ করছে আদায়কৃত চাঁদার টাকা। যার ভূক্তভোগী হচ্ছে খুদ সরকারী মহিলা কলেজ এবং সরকারী তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থীসহ রাস্তায় চলাচলরত পথচারীরা। এ যেন মগের মুলুক। দেখার যেন কেহ নেই। ফুটপাত দখল করে দোকান আবার অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করছে নারায়ণগঞ্জের বসবাসকারী মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী এই চক্র কারা ? তাদের হাত থেকে প্রতিকারের জন্য কেহ কি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।
জানাযায়, চাষাড়া রেললাইন এলাকায় জৈনক নবী হোসেন নামের এক বিদ্যুৎ চোর ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতিদিন দোকান প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। তাছাড়া ফুটপাতে দোকান বসাতে ছিচকে নেতাদের দিতে হয় ২০-৩০ হাজার টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে ভাগ করছে চাঁদাবাজ চক্র। চাষাড়া রেলক্রসিং এলাকায় গেটম্যান কক্ষের সাথে চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ দ্বারা ফটোকপি, কম্পিউটার এবং চায়ের দোকান ব্যবসা। ফলে বেশ কয়েকটি কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচলে গঠছে বিঘœতা। যার অন্যতম কারন অনুসন্ধ্যাণে দেখাযায় ফুটপাতটির অর্ধেক দখল করে রেখেছে রেলক্রসিং আর বাকীটাতে চলছে দোকান ব্যবসা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণের জন্য অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করেছে। সরকারের উন্নয়নের নতুন একটি মাইল ফলক হতে যাচ্ছে এই ডাবল লাইন রেলপথ। কিন্তু একদিকে অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আর অপর দিকে ফুটপাত দখল করে পূর্ণরায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে চলছে রম রমা ব্যবসা। প্রশাসন এবং রেলওয়ে কৃর্তপক্ষের দৃষ্টিগোচর কবে হবে এই বিষয়ে জনমনে এই প্রশ্ন ?
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের চাষাড়া থেকে সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি তোলারাম কলেজ অভিমুখী একমাত্র সড়কটিতে এমন অবৈধ ফুটপাত দিয়ে দখল কারো কাম্য নয়। স্বাভাবিক ভাবে চলফেরায় অনেক সময় ফুটপাতের অবৈধ দোকানের ক্রেতাদের ইবটিজিং’র শিকার হই আমরা। এই বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের বসবাসকারী অনেকেই দৃষ্টিগোচর।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চাষাড়া রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার ইব্রাহিম মৃধা মুঠোফেনে বলেন, আমরা কোন প্রকার কারো কাছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেইনি। ফুটপাত এবং রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলের বিষয়ে আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তাছাড়া এ ব্যাপারে অভিযোগ থাকলে আমরা বিষয়টি নিয়ে যথাযত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি দুইটি কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলের অন্যতম প্রধান সড়ক ও ফুটপাতটি রেলক্রসিং এলাকায় প্রতিবন্ধকতায় আর দেখতে চায় না। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন এবং পুলিশ সুপার মোঃ হারুন অর রশীদ (বিপিএম)(পিপিএম)বার এর হস্তক্ষেপ কামরা করে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীবৃন্দরা।