নিউজস্বাধীন বাংলা: ডেঙ্গু আতঙ্কে বাংলাদেশ, প্রতিনিয়ত হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা একদিকে কমছে অন্যদিকে বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ বিশিষ্ঠ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় ২১,২২ ও ২৩ নং ওযার্ডে ডেঙ্গু রোগীর চাপে চিকিৎসকগণ হিমসিম খাচ্ছে অন্যদিকে পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় সোমবারে কর্ত্যরত ডাক্তার মোহাম্মদ আবদুল মালেক সরকারী রেজিষ্টার মেডিসিন বিভাগ তিনি একাই রোগী দেখছেন নিষ্ঠার সাথে। তিনি জানান যারা ভাল হচ্ছেন তাদেরকে ডিসচার্জ করা হচ্ছে কিন্তু ঐ বেডই পুনরায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের সর্ব প্রকার সুযোগ সুবিধা ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে এই হাসপাতালে। সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে মনিটরিং করা হচ্ছে কেউ যেন কাজরে অবহেলা না করেন কিন্তু রোগীর চাপ থাকায় হিমসিম খেতে হচ্ছে।নারায়ণগঞ্জে বেশ কিছু এলাকায় একবার করে মশার ঔষুধ ছিটানো হলেও পরবর্তিতে আর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এতে এডিস মশা বংশ বিস্তারে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকাতেই সামান্য বৃষ্টি হলেই সয়লাব হয়ে যায় এতে দেখা যায় পানি নিস্কাশনের জন্য বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যায় ফলে এডিস মশার লার্ভার জন্ম নেয় এথেকেই সৃষ্টি হয় এডিস মশা। সিটি কর্পোরেশন থেকে যদি প্রতিনিয়ত সিডিউল অনুযায়ী মশা নিধনের ঔষধ স্প্রে করা হতো অলিতে গলিতে তাহলে হয়তো এই এডিস মশার বংশ অনেকটাই ধ্বংস হতো।
২৬ আগষ্ট নাঃগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘুরে দেখা যায় কড়ই গাছ তলার নিচে একটি অকার্য পানির ট্যাংক যার ঢাকনা খোলা থাকায় এডিস মশার লার্ভার সৃষ্টি হচ্ছে সেই সাতে রয়েছে প্রচুর ডাষ্ট যা এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি হওয়ার চরম সম্ভাবনা রযেছে। বিষযটি সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন হলেও নেই কোন উদ্যেগ। অন্যান্য জেলার তুলনায় নাঃগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা কম হলেও পর্যাপ্ত মশার ঔষধ স্প্রে না করার কারনে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তবে আগামী দিন গুলোতে এই স্প্রে বিরতিহীনভাবে দেওয়া হলে রোগীর সংখ্যা কমে আসবে বলে ধারনা করছেন জেলাবাসী। এদিকে নারায়নগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ আলহাজ¦ একেএম শামীম ওসমানের সুযোগ্য পুত্র এ কে এম অয়ন ওসমান তিনি নিজ উদ্যোগে মাস ব্যাপি এডিস মশা নির্মূলে ঔষুদ ছিটাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকায় এতে জনগনের মাঝে বেশ সারা জেগেছে। জেলাবাসী বলছেন বিত্তবানরা যদি এভাবে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসেন তাহলে মশার বংশ নিঃশে^ষ করতে বেশি সময় লাগবেনা। এডিস মশা তথা ডেঙ্গু রোগ সাধারণত স্পেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে দেখা যায় কিন্তু এবার জুন মাস থেকেই এর প্রকোপ শুরু হয়।
সরকার এডিস মশা নিধনে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু জনগনের অসাবধনাতার জন্য রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এতে সারা দেশে প্রায় শতাধিক রোগী এ পর্যন্ত মারা গেছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ১২৫১ জন রোগী র্ভতি হয়ছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধদিপ্তররে হ্যালথ ইর্মাজেন্সি অপারশেন সেন্টার কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানয়িছেন। এদিকে নাঃগঞ্জ ৩০০ শর্যা হাসপাতালের সরকারী রেজিষ্টার ভুক্ত মেডিসিন বিভাগের ডাক্তার আবদুল মালেক জানান ডেঙ্গু সাধারণত ৪ ভাগে বিভক্ত ধারণ করেছে তার মধ্যে ডেনভি-১, ডেনভি-২, ডেনভি-৩, ডেনভি-৪ এর মধ্যে ডেনভি-৩ নামক এবার ব্যপক ভাবে বিস্তার লাভ করেছে।