প্রেসবিডি ডটনেট :সরকারের আহবানকৃত দরপত্র ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু এই দরের তিনগুণেরও বেশি মূ ল্য তথা এক কোটি ১৫ লাখ ৫শ টাকায় একটি অস্থায়ী কোরবানির হাট ইজারা নিয়েছেন ফাতেমা মনির। আলীগঞ্জের পিডাব্লিউ’র খালি জায়গায় নির্ধারণ করা হয়েছে এই হাটের স্থান। এই হাটের জন্য ১৫ টি শিডিউল ক্রয় করা হয়।
সোমবার (৫ আগস্ট) আলীগঞ্জের পিডাব্লিউ’র খালি জায়গার অস্থায়ী কোরবানির হাটের জন্য দরপত্র জমা পড়ে ৫টি। তার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে বৈধ ইজারাদার হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক সর্বোচ্চ দরদাতাদের নাম ঘোষণা করেন।
সদর উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা এবার ১৭ টি অস্থায়ী কোরবানির হাটের জন্য বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করে। এই ১৭টি হাটের বিপরীতে ১৪১টি শিডিউল বিক্রিয় হয়। যার মধ্যে সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমা পড়ে ৪৭ টি।
জমাকৃত দরপত্র থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা ১৬ জনকে ১৬টি হাটের জন্য বৈধ ইজারাদার হিসেবে ঘোষণা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। এছাড়া একটি হাটের জন্য তিনটি দরপত্র জমা পড়লেও সেটি সরকারি নির্ধারিত দরের থেকেও কম মূল্য আসায় তা স্থগিত রাখা হয়।
জানা গেছে, কাশিপুর ক্লাব মাঠের হাটের জন্য সরকার দর নির্ধরাণ করেছিলেন ৩১ হাজার টাকা। এই হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা ৩৩ হাজার টাকায় আইয়ূব আলী ইজারা পান। গোগনগর সৈয়দপুর পাঠাননগরের হাটের জন্য সরকার নির্ধারণ করে ৫৬ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫৭ হাজার টাকায় এই হাটের ইজারা পেয়েছেন মো. শাকিল সরদার। গোগনগর বাড়িটেক হাটের জন্য সরকার নির্ধারণ করে ৫৬ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৭০ হাজার টাকায় এর ইজারা পান দেলোয়ার হোসেন। গোগনগর পলি ফ্যাক্টরী হাটের জন্য ৪০ হাজার টাকা সরকারি দর থাকলেও তা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৪২ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন আল মামুন।
এছাড়া গোগনগর চরসৈয়দপুর কাঠপট্টি খেয়াঘাটের হাটের জন্য সরকার ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দর আহবান করলেও ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকায় এই হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পেয়েছেন মো. আসলাম সরকার। গোপনগর পুরান সৈয়দপুর হাটের জন্য সরকারি নির্ধারিত দর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিলো, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ লাখ ১১ হাজার টাকায় এর ইজারা পেয়েছেন নাজির আহম্মেদ। গোগনগর বাদশা মিয়ার নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী হাটের জন্য সরকারি দর ৩৮ হাজার টাকা, এর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৩৮ হাজার ৫শ টাকায় এস এম মোসলেহ উদ্দিন ইজারা পেয়েছেন।
আলীরটেক আমান মার্কেটে ২৬ হাজার টাকা সরকারি দরপত্র আহŸান করলেও সর্বোচ্চ দর ২৬ হাজার ৫শ টাকায় এর ইজারা পেয়েছেন জামাল উদ্দিন। বক্তাবলী ৪ নং রাজাপুর সরকারি দর ৫২ হাজার টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫২ হাজার ৫শ টাকায় সাব্বির আহমেদ ইজারা পেয়েছেন। বক্তবলী চর বয়রাগাদির ২২ হাজার টাকা সরকারি দরের বিপরীতে ২৩ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সিদ্দিকুর রহমান ইজারা পেয়েছেন। বক্তবলী সমিরনগর আদর্শ বাজারে ২৪ হাজার হাজার টাকা সরকারি দরের বিপরীতে ২৪ হাজার টাকাতেই আবুল কাশেম দেওয়ান পেয়েছেন। এছাড়া রামনগর সরকারি ইজারা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দরপত্র আহবান করা হয়। তবে এই হাটটিতে বিবেচনাধীন টাকা আসেনি তাই স্থগিত রাখা হয়।
অন্যদিকে ফতুল্লার তল্লা আজমেরীবাগ জানে আলমের নিজস্ব ভূমিতে হাটের জন্য সরকারি দর আহবান করা হয় ৭০ হাজার টাকা এর বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৭১ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন জানে আলম বিপ্লব। ভুইগড় রূপায়ন টাউন সংলগ্ন হাটের জন্য সরকার ৫৯ হাজার টাকা দরপত্র আহŸান করলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৬০ হাজার ৫শ টাকায় মানিক চান ইজারা পেয়েছেন। কুতুবপুর তালতলা প্যারাডাইস সংলগ্ন হাটের জন্য সরকারি নির্ধারিত ৮৫ হাজার টাকা দরপত্র আহবান করলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৯০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন টেনু গাজী। কুতুবপুর শান্তিধারার হাটের জন্য সরকার ৫০ হাজার টাকা দরপত্র আহবান করলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৬১ হাজার টাকায় এর ইজারা পায় রাজ্জাক বেপারী।