নিউজস্বাধীন বাংলা: সদরের কোরবানির হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চত্বরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরমধ্যে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশ দ্বার দখলে নিয়েছে ফাতেমা মনিরের মহিলা বাহিনী।
এদিকে উপজেলা পরিষদে প্রবেশের মূল গেটে সকাল থেকেই হঠাৎ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে দরপত্র জমা দিতে আসা মানুষজন।
তাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের লোক হিসেবে পরিচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির তার মহিলা বাহিনীসহ অসংখ্য লোক জড়ো করেছেন উপজেলা চত্বরা। মূলত তারা এভাবে জড়ো হয়ে এবং প্রবেশ দ্বার দখল করে রেখে ভীতিকর একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছে উপজেলা চত্বরে।
সূত্র বলছে, রোববার সদর উপজেলার ১৭টি অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য ১শ ৪১ টি শিডিউল বিক্রি হয়। এসব শিডিউল সোমবার (৫ আগস্ট) জমা দেওয়ার দিন ধার্য এবং এদিনই সর্বোচ্চ দরপত্রদাতাদের নাম ঘোষণা করা হবে।
এদিকে ১শ ৪১ টির মধ্যে আলীগঞ্জ ১৫ এবং তালতলার জন্য ১১ টি শিডিউল বিক্রি হয়েছে। এ দুটি হাট নিয়েই সব থেকে বেশি উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে আলীগঞ্জ হাটের ইজারা নিতে ইতোমধ্যে ফাতেমা মনিরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যে একটি সিন্ডিকেট হয়। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে পুলিশ পেটানো মামলার আসামী হাজী মনিরউদ্দিন এবং তার ভাই হাজী নাসিরউদ্দিন। এরমধ্যে রোববার উপজেলা পরিষদে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন নাসিরউদ্দিনসহ দুজন।
উপজেলা পরিষদে উপস্থিতি সূত্রে জানা গেছে, পুরো উপজেলাজুড়ে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছেন ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। তিনি প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলাসহ আর ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল এনে উপজেলা চত্বরসহ বাইরের অংশ নিজের দখলে রেখেছেন। এরমধ্যে মহিলা বাহিনী দখলে নিয়েছেন উপজেলার প্রশাসনিক ভবনের মূলগেট।
আলীগঞ্জ হাটের জন্য টেন্ডার জমা দিতে আসা শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু অভিযোগ করেছেন, টেন্ডার জমা দিতে এসে বাধার মুখে পড়ি। প্রশাসনিক ভবনের মূলদ্বার দখল করে রেখেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরের লোকজন।
এদিকে উপজেলা পরিষদ এলাকায় হাটের ইজারা নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করলেও কোথাও পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সূত্র জানায়, সকালের দিকে বেশ কিছু পুলিশ উপজেলা চত্বরে ছিলেন। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুলিশের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (দুপুর একটা পনের মনিটি) উপজেলা পরিষদ এলাকায় কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি।