নিউজস্বাধীন বাংলা: শহরের জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ২৮ জুয়াড়িকে আটক করে র্যাব-১১। ৩ আগস্ট রাত ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত একঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান চলে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ৩নং মাছঘাট এলাকায়।
আটকদের কাছ থেকে ৪‘শ ৫০ পিস ইয়াবা এবং নগদ ৪৭ হাজার ৫‘শ টাকাসহ জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিলো বলে জানিয়েছে র্যাব-১১ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
আটকরা হলেন, মো. বাদশা (৫০), লাল মিয়া (৫০), মো. রতন (৪৫), মো. জনি (৩২), মো. কুদ্দুস মোল্লা (৪৮), টিটু চন্দ্র দাস (৩০), মো. নুর হোসেন (৫৫), আবুল হোসেন (৪৫), মো. মিন্টু (৪০), মো. আলামিন (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৪৫), মো. টিটু সুলতান (৩৬), টিটু চন্দ্র দাস (৩১), মো. আশাদুল (২৮), মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), মো. শরিয়ত (৩৪), রতন (৫০), মো. আজাদ হোসেন (৩৪), মো. আওলাদ হোসেন (৫২), মো. বিল্লাল হোসেন (৫০), মো. চুন্নু (৩৯), মো. দিদার হোসেন (৪০), মো. আলী আজগর (৩৫), মো. নুর উদ্দিন (৪৫), মো. শরিফুল ইসলাম (৪০), মো. কামাল ওরফে জুয়েল (৪৫), মো. সাইফুল ইসলাম (৪৫) এবং মো. কবির (৫৫)। তাদের দখল হতে ৪‘শ ৫০ পিস ইয়াবা, নগদ ৪৭ হাজার ৫‘শ টাকা ও জুয়ার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, সম্প্রতি একটি সংঘবদ্ধ চক্র ৩নং মাছ ঘাটের পাশে রেলওয়ের খালি জায়গা দখল করে বাঁশ ও ছাউনি দিয়ে জুয়ার আস্তানা বানিয়ে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছে। সেখানে প্রায় শতাধিক লোক নিয়মিত নিষিদ্ধ জুয়া খেলায় অংশ নিতো এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা হয়।
তিনি উপস্থিত স্বাক্ষী, স্থানীয় লোকজন ও গ্রেফতারদের বরাত দিয়ে আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত নিষিদ্ধ জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিল। গ্রেফতারদের মধ্যে ৪জন মো. বাদশা, লাল মিয়া, মো. রতন ও মো. জনি জুয়া খেলার পাশাপাশি জুয়াড়িদের কাছে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। নিষিদ্ধ জুয়ার আস্তানা ও মাদকের আখড়া বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে অভিযান চালিয়ে ৪০ জন জুয়াড়িকে আটক করেছিলো জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এছাড়াও একই চক্রের জিমখানা এলাকার অপর জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে আস্তানা তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।