নিউজস্বাধীন বাংলা / মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালিন সময়ে মশা নিধনের ঔষধ ব্যবহার করায় ১৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আহত সবাই মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুলের এই ঘটনা ঘটে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুলে ক্লাস চলছিল। ওই সময় স্কুলে পৌরসভার পক্ষ থেকে মশার ঔষধ স্প্রে করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়।অসুস্থরা হলেন-৮মশ্রেণীর শিক্ষার্থী এমি,সানন্দ দত্ত,ইসমা,রিমা,মৌসুমি দত্ত,রিয়া দত্ত,তনিমা জান্নাত,শাহরিয়ার সাদি,প্রজ্ঞা চৌধুরী,সুমাইয়া,সৈয়দা ফাহিমা,সৈয়দা লাবিবা আহমদ ও নৌশিন আহমেদ। অসুস্থ এমির মামা মান্নান আহমদ বলেন,আমরা চাই মশক নিধন হোক,কিন্তু আমাদের সন্তানদের ক্ষতি করে নয়। আমরা স্কুলে ছাত্র /ছাত্রী পাঠিয়েছি তাদের ভাল শিক্ষার জন্য। স্কুলে গিয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে এর দায়ভার কে নেবে?ঔষুধ ছিটানোর আগে স্কুল কতৃপক্ষ এদিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল। অভিবাবক সৈয়দ রাশেদ আহমদ ও মনজু দত্ত বলেন- ক্লাস চলাকালে ছাত্র /ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা অভিভাবকরা আতঙ্কিত। পৌর কর্তৃপক্ষ চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে ঔষধ স্প্রে করতে পারত।
এবিষয়ে দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন,স্প্রে করার কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছি। আপনারা ক্লাস চলাখালিন বিদ্যালয়ে মশা নিধনের ঔষধের ব্যবহারের অনুমতি কি করে দিলেন এমন প্রশ্নের উওর পাওয়া যায়নি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে। মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: রত্ম দ্বীপ বিশ্বাস বলেন,মোট ১৩ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন,এঘটনার পর আমি হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে যাই। স্কুলে কি র্পূবে কোন নোটিশ দিয়ে ছিলেন কিনা? এ প্রতিনিধির এমন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, পৌর এলাকায় মাইকিংয়ের ম্যধমে জানানো হয়েছে। নোটঃ ছবি সংযুক্ত।