নিউজস্বাধীন বাংলা : নারায়ণগঞ্জে দুটি বহুতল গার্মেন্টে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই দুটি গার্মেন্টে যদি দুর্ঘটনা ঘটে তবে, তা রানা প্লাজার থেকেও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এমনই তথ্য জানিয়েছেন বিকেএমইএ’র সভাপতি সাংসদ সেলিম ওসমান।
তার দাবি, এমন ঘটনা যদি ঘটে তাহলে নারায়ণগঞ্জের কেউ বাংলাদেশে মুখ দেখাতে পারবে না। তবে, ওই গার্মেন্ট দুটি কোথায়, কী কী নাম সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি সাংসদ।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সভায় বিকেএমইএ-এর সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কথা বলেন তিনি।
সাংসদ সেলিম ওসমান ওসমান বলেন, “নারায়ণগঞ্জে দুইটা বিল্ডিং আছে। যদি ওখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে নারায়ণগঞ্জের কেউ বাংলাদেশে মুখ দেখাতে পারবে না। শুধু নারায়ণগঞ্জ না; বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে সেটা মূল্যায়ন করা যাবে না। রানা প্লাজার থেকেও বেশি ক্ষতি হবে। কিন্তু আপনারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আপনাদের কাছে গেলেই আপনারা বলবেন, আমাদের জনশক্তি নেই।”
এছাড়াও সাংসদ আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক ফ্যাক্টরী চলছে অবৈধ। তাদের ফায়ার সেফটি নাই, ট্রেড লাইসেন্স নাই, ইলেক্ট্রিক লাইনের বিল নাই, কোনো সংস্থার সাথেও নাই অথচ তারা লাখ লাখ লোক খাটায়। এভাবে যদি চলতেই থাকে তাহলে তো আমাদের মরণ ছাড়া উপায় নাই।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমরা চারটি সংস্থা নিয়ে আসছি। একটা ইপিবি। এটা দিয়ে আমরা খুব ভালো মত আমরা রপ্তানি করতে পারছি। ঢাকায় দৌঁড়াতে হয় না। আরেকটা টেক্সেস অফিস। আমরা একদম সময় মত টেক্স পরিশোধ করতে পারি। আর দুইটা বোধ হয় খাল কেটে কুমির নিয়ে আসছি। একটা হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তাদের চোখ দিয়ে দেখায়ে দিচ্ছি তারপরও যে লাউ সেই কদু। আরেকটা হচ্ছে আপনার ডিপার্টমেন্ট কল-কারখানা অধিদপ্তর।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদা আক্তার খান কাজল, জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ, শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ প্রমূখ।