নিউজস্বাধীন বাংলা: সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাটের আবেদন করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি তার ভাই প্রয়াত হাফেজ মোক্তারের নিজস্ব জায়গাতে কুরবানির হাটের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন সম্প্রতি।
তবে, অভিযোগ উঠেছে আলীগঞ্জে ব্যক্তি হাফেজ মোক্তারের নামে কোথাও কোনো জায়গা নেই। তাই প্রশ্ন উঠেছে, ফাতেমা মনির কোন জায়গাকে হাফেজ মোক্তারের দাবি করে পশুর হাটের আবেদন করলেন?
সূত্র বলছে, ৯ জুলাই জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের বরাবর দুটি হাটের জন্য আবেদন করেন সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির।
আবেদনে ফাতেমা মনির লিখেছেন, ‘ফতুল্লা থানাধীন আলীগঞ্জ নদীর পাড় এলাকায় মৃত হাফেজ মোক্তারের নিজস্ব ভূমিতে এবং একই থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকার আকবরের নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট অনুমতি দিয়ে সাধারন মানুষ অতি সহজে কোরবানীর পশু ক্রয় করতে পারবে। এছাড়া হাটগুলোতে প্রশাসকের দেয়া সকল শর্তাদি ও নিয়ম কানুন মেনে চলা হবে বলেও উল্লেখ স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়।’
তবে, যে স্থানটিকে প্রয়াত হাফেজ মোক্তারের জমি বলে দাবি করা হয়েছে সেখানে ব্যক্তি হাফেজ মোক্তারের নামে কোনো জমি নেই বলে দাবি করেছেন আলীগঞ্জের আদি বাসিন্দারা। তাদের দাবি, ফাতেমা মনির মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির তার ভাই হাফেজ মোক্তারের নামে জমি আছে দাবি করেন। তবে, পরবর্তীতে তার কাছে জমির দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ জানতেই চাইলে তিনি বলেন, দলিল আমার কাছেই আছে। সব দিতে পারবো।
এরপরই তিনি তার কাছে থাকা কাগজ থেকে বলতে শুরু করেন, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারিতে ২২০১৭ নম্বর ভিসিআর মূলে ১১৪/২৫২ নং দাগের ৪৩ শতাংশ জমি লিজপ্রাপ্ত হন। নিয়মিত আমরা এর খাজনা দিয়ে আসছি।