নিউজস্বাধীন বাংলা: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান ওসমান বলেছেন,বাংলাদেশ এখন বিদ্যুতে স্বয়ং সম্পন্ন। প্রিপ্রেইড মিটার কোন আতংকের নাম নয়। এটা আমাদের বিদ্যুৎ খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। যারা প্রিপেইড মিটার ব্যবহারে জামেলা মনে করছেন তারা সোলার ব্যবহার করবেন। অনেকে বলে প্রিপ্রেইড মিটার নাকি বিষভোড়া। তাদের বলবো আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আশা করি তার বক্তব্য ভালো করে শুনলে আপনাদের এ নিয়ে আর আপত্তি থাকবে না। মনে রাখবেন বিদ্যুৎ এসির জন্য নয় এটা দেশের শিল্পের জন্য। এটা আমাদের মূল্যবান সম্পদ আমাদেরই ধরে রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বন্দর-৩ ( পদুঘর) ৩৩/১১ কেভি ২০/ ২৮ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন ইনডোর বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,আমি জীবনে হারাম খাইনা এবং কাউকে হারাম খেতেও দিব না। তাই আমি ঘোষনা দিতে চাই নারায়ণগঞ্জে কোন অবৈধ গ্যাস আর থাকবে না। বকশি বিদ্যুৎ আর হবে না। এ সময় তিনি বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদকে উদ্দেশ্য করে বলেন,চেয়ারম্যান সাহেব আপনি লক্ষ রাখবেন বন্দরে যেন আর একটাও অবৈধ গ্যাস সংযোগ বসবে না পারে। তাছাড়াও এই এলাকায় যত অবৈধ গ্যাস সংযোগ আছে সবগুলো বিচ্ছিন্ন করবেন। আর অবশ্যই প্রিপ্রেইড মিটার সম্পর্কে মানুষকে বুঝাবেন যেন তাদের মধ্যে থাকা আতংকটা দূর হয়ে যায়।
সেলিম ওসমান বলেন,আমি আমার জনপ্রতিনিধি তথা চেয়ারম্যানদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বলতে চাই কোন বিচার শালিস করবেননা। উপজেলা অডিটরিয়ামে বসে সমাধান করবেন। মানুষের উপকার করবেন। ঝগড়া বিবাদ হলে ওসি সাহেব মামলা নিবেন। মামলা হওয়ার পর জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সমাধান হবে। কোন নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানী কিংবা সুবিচার থেকে বঞ্চিত না হয়। বন্দর উপজেলা হবে শান্তিময় একটি এলাকা। নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ বন্দরে আসবে জীবিকা নির্বাহ করতে। কোন সমস্যা থাকলে আমাকে বলবেন। আমি উন্নয়ণ চাই। বন্দরের মানুষের মূখে হাসি দেখতে চাই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী খায়রুল বাশার। বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারীর সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১’র বন্দর জোনাল অফিসের ডিজিএম আশরাফুল আলম খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ,ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা,বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাপা’র সভাপতি আবুল জাহের,নাসিক’র ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার,২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া,২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধাণ,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ আহমেদ,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ,ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ,মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ সালাম,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ,পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়ারিং ইন্সপেক্টর মুজিবুর রহমান,আ’লীগনেতা মোঃ নাজমুল প্রমুখ। পদুঘর-৩ এর উপকেন্দ্র নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে ১০কোটি,৩৩কেভি লাইন ৭.৮কিলোমিটারের জন্য ২ কোটি ও ১১কেভি ২৮কিলোমিটারের জন্য ৪ কোটি টাকা।