নিউজস্বাধীন বাংলা: নারায়ণগঞ্জ কারাবন্দি নারীদের পুনর্বাসন ও আত্মনির্ভর করার লক্ষ্যে বিউটিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের অর্থায়নে এবং সামাজসেবা অধিদপ্তর ও জেলা কারাগারের যৌথ উদ্যোগে এই কোর্সটি চালু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টায় জেলা কারগারের মহিলা ওয়ার্ডে ওই কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
প্রশিক্ষক সাবিরা সুলতানা নীলাসহ আরও দু’জন সহকারি প্রশিক্ষকের তত্ত¡াবধায়নে কারাবন্দিদের অংশগ্রহণে কোর্সটি পরিচালিত হবে। ৯ মাস মেয়াদী প্রথম কোর্সে মোট ১০ জন কারাবন্দি অংশগ্রহণ করছে।
জেলা কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে ও ডেপুটি জেলার তানিয়া জামানের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর জেলা সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম, জেলার শাহ্ রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার আরিফুল রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমূখ।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আমরা যখন জেলে ছিলাম তখন এত সুযোগ সুবিধা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাবান্দিদের উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে খাবারের বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করছেন। তার ফলেই আজ নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় সন্তান তার বাবার নামে পরিচিত হত কিন্তু আজ বাবা-মা দুইজনের নামেই তারা পরিচিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যারা কারাবন্দি আছেন তাদের অধিকাংশই অর্থাভাবে অপরাধে লিপ্ত হয়েছেন। আপনাদের সেই অভাব, নির্ভরশীলতা দূর করার জন্যই এই বিউটিফিকেশন কোর্স। এই কোর্স শেষে যখন আপনার মুক্ত হবেন তখন আপনাদের অভাব, নির্ভরতা থাকবে না। আপনারা নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবেন এবং আত্মনির্ভর হবেন। জেলা পরিষদ আপনাদের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।’
জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রায় যাতে সর্বস্তরের মানুষ তাদের অবদান রাখতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ পরিচালনা করছেন। কারাবন্দিদের খাবারমান উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা তার মধ্যে একটি। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে কারাবন্দিদের খাবারের বরাদ্দ ৩০ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। এখন জেলের মধ্যে থেকেও আপনাদের প্রিয় জনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। গত ২২ জুলাই রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে আমরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। যার আওতায় কারাবন্দিরা জেলখানায় উপার্জিত অর্থ তার পরিবারের কাছে পৌছাতে পারবে এবং পরিবারের সদস্যরাও তার জন্য টাকা পাঠাতে পারবেন।’