নিউজস্বাধীন বাংলা : সাংসদ সেলিম ওসমানের নিজ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের দায়ে তাদেরকে এই বরখাস্ত করা হয়।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে বন্দরে নাগিনা জোহা উচ্চবিদ্যালয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাই করতে স্বশরীরে উপস্থিত হন স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা সাংসদ সেলিম ওসমান। এসময় তিনি ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই সিদ্ধান্ত নেন।
এছাড়াও স্কুলটির পরিচালনা পর্ষদও বিলুপ্ত ঘোষণা করেন সাংসদ। তিনি এডহক কমিটি গঠন করতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বরখাস্তকৃত শিক্ষকরা হলেন, আল-আমিন এবং কাউসার। তাদের মধ্যে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আল আমিনের বিরুদ্ধে এবং অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির বিচার দাবি করা শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ছাত্রীকে এসএমএস এর মাধ্যমে প্রলোভন এবং কু প্রস্তাব দেওয়া বিষয়টি শিক্ষক আলআমিন নিজেও স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত চলছে। তবে, সাংসদ সেলিম ওসমান স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে যৌন হয়রানির সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরও অভিযুক্তকে পুলিশে না দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয়রা যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।
স্কুল পরিদর্শকালে সাংসদ সেলিম ওসমানের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এম, এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্র্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, স্কুল পরিচালনা কমিটি গোলাপ হোসেন, ঘটনার তদন্তকারি কর্মকর্তা কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।