নিউজস্বাধীন বাংলা : বন্দরে ৫‘শ টাকর দ্ব›েদ্ব খুন হওয়া মিজান সিকদার মিশর হত্যা মামলায় তিনজনকে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালতত।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নোয়ার্দা তাইতাখালী এলাকার শাহ্ আলমের ছেলে সাকিব, একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে জিসান এবং দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শ্যামল।
এর আগে একই মামলায় গ্রেফতার নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া কাইতাখালি এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠু (২৫) এবং নোয়ার্দা কাইতাখালি এলাকার মঞ্জুর হকের ছেলে মুন্না (২০) হত্যার দায় স্বীকার করে পৃথক দুটি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
২৩ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হূমায়ূন কবীর ও মিল্টন হোসেনের আদালতে পৃথক ভাবে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই জবানবন্দি ও রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মিশর সিকদার হত্যাকাÐের দায় স্বীকার করে মিঠু ও মুন্না নামে গ্রেফতার দুজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হূমায়ূন কবীর ও মিল্টন হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাবনবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়াও আব্দুল হাই আরও জানান, একই মামলায় বুধবার সাকিব, জিসান ও শ্যামল নামে গ্রেফতার তিন আসামীর ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত।
বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামীর মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে মিঠু ও মুন্না নামে দুজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এছাড়াও গ্রেফতার অপর তিনজনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন পৃথক একটি আদালত।
এদিকে বন্দর থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ২২ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নোয়ার্দা এলাকায় মিশর সিকদারকে বাটাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একটি সংঘবদ্ধচক্র। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সানি সিকদার ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দুজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং অপর তিনজনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই মামলায় এখনও একজন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, মিঠু নামের এক যুবকের কাছ থেকে নিহত মিজান সিকদার মিশর ৫‘শ টাকা পেত। এ কারণে সে মিঠুর মোবাইল ফোন রেখে দিয়েছিলো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ। এ জের ধরে মিঠুসহ অন্যরা সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বাটালি দিয়ে মিশরকে খুঁচিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় মিশরের চিৎকারে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় মিশরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।