নিউজস্বাধীন বাংলা : বঙ্গবন্ধু সড়ককে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, হকার মার্কেটে প্রকৃত হকারাই বসবে, সাধারণ মানুষের জন্য হকার মার্কেটের দোকান নয়। দরকারে হকারদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করে তাদেরকে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য মেয়রকে অনুরোধ জানাবো।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে নগরীর চাষাড়া হকার মার্কেটের সামনে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ‘ছেলেধরার’ গুজব ছড়ানো বিষয়ে প্রেসব্রিফিংএ তিনি এসব কথা বলেন।
হকার সমস্যা নিয়ে বলতে গিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, হকাররা আমাদেরই ভাই, আমাদের সমাজেরই মানুষ। আমরা চাই সমাজের প্রতিটি মানুষ কর্মঠ হোক, সে কারনে আমরা আসছি। হকাররা যাতে তাদের নিজ নিজ জায়গায় বসতে পারে।
তিনি বলেন, সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়া হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক, ১নং রেলগেট, ২নং রেলগেট এই জায়গা নারায়ণগঞ্জের সকল মানুষ, বিশেষ করে লক্ষ লক্ষ মানুষ চলাচল করে। বঙ্গবন্ধু সড়কটা ঐতিহাসিক সড়ক। ওই সড়কটা যদি যানজট করে রাখে, রাস্তার মধ্যে যদি অবৈধ পার্কিং থাকে, রাস্তার মধ্যে যদি হকাররা বসে থাকে, তাহলে রাস্তা দিয়ে কেউ পারাপার হতে পারেনা। যে রাস্তাটি পার হতে লাগবে আমাদের ৫ মিনিট, সে রাস্তাটি পার হতে লাগে আধাঘণ্টা থেকে একঘণ্টা।
হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সাহেব আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেয়র আইভী এবং আমাদের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সাহেব উনিও বলেছিলেন, যাটজটের কারনে ওনার যেতে অনেক সময় বেশি লাগে। এমপি মহোদয়ের কথা, মেয়র মহোদয়ের কথা সকলে যে কথাটি বলছেন, যে কারণে আমরা মেইন রোড থেকে হকারদের সরিয়ে দিবো। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, যে হকার মার্কেটে আমরা আসলাম সেখানে ৬’শ ৫০ দোকান মাননীয় মেয়র বরাদ্ধ দিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখলাম হকারদের যেখানে বসার কথা সেখানে বসে নাই। প্রত্যেকজন হকার ৬’শ পঞ্চাশটি দোকান বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায় বসার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমরা আজকেই মেয়র মহোদয়কে বলবো যে, প্রকৃত হকার যারা, হকাররাই হকার মার্কেটে বসবে। এটা নিয়ম ঠিক করে দেন। এবং বাকি হকারদের জন্য যেন ওনি আরও একটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আমরা মনেকরি, মেয়র মহোদয় উনি আমাদের কথা শুনবেন। উনি এখানে হকারদের বসার ব্যবস্থা করবেন এবং দরকার জন্য একটি বহুতল ভবন করে হকারদেরকে বসার ব্যবস্থা করবেন।
পুলিশ সুপার বলেন, হকাররা তাদের কাজ করবেন। তারা ব্যবসার সুযোগ পাবে এটা আমরাও চাই। আমি মনে করি সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা বিভিন্ন জায়গায় বলেন, মেয়র মহোদয়কে বলেন আমরাও বলবো। যেন হকারদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন আর কারা কারা সে সময় দোকান পেয়েছিলো, তাদেরকেই সেখানে দোকান বরাদ্ধে সুযোগ করে দিতে হবে। এ দোকান সাধারন মানুষদের জন্য নয়, এটা হকারদের দোকান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহদী ইমরান সিদ্দিকী, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহউদ্দিন আহমেদ, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হক, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) মো. সাজ্জাদ রোমন প্রমূখ।