বিশেষ প্রতিনিধি ঃ দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জে হকার্স সমস্যার সমাধানের জন্য সিটি মেয়র, স্থানীয় সাংসদ ও পুলিশ সুপারের স্বরনাপর্ন হয়েছেন হকার্সগন। বিভিন্ন সময়ে নানান উদ্যোগ গ্রহন করা হলেও ফুটপাতের হকার্সদের কোন সমাধান বা সুরাহা হয়নি বিধায় হকার্স উচ্ছেদ করা হয় বিবি রোড সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলিতে। সম্প্রতি ফুটপাত হতে হকার্স উচ্ছেদ হলেও শহরের কিছু কিছু স্থানে আনাচে কানাচেতে হকার্সরা ব্যবসা করে যাচ্ছে কিন্তু তাদের বসার জন্য স্থায়ী সমাধান এখনও হয়নি। ২০০৮ সালে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে হকার্সদের পূর্নবাসন করতে চাষাঢ়াস্থ হকার্স মার্কেট স্থাপন করা হয়। গড়ে তোলা হয় ছোট বড় সর্ব মোট ৬৭২টি টি দোকান এর মধ্যে ৭৪ টি টিন সেট ৫৯৮ টি মাঠের খালী জায়গায় ৩ ফিট বাই ৩ ফিট । এই দোকান গুলির ভাড়া গ্রহন করে সিটি কর্পোরেশন। ঐ সময় যে সকল দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয় হকার্সদের, তাদের মধ্যে ২০০শত দোকানের অধিক বরাদ্দকৃত হকার্স পাশ^বর্তি হকার্সদের কাছে বিক্রি করে চলে যায় এমনটি জানাযায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন হকার্স মার্কেট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচিত কমিটির কাছ থেকে। তারা আরও জানায় সিটি কর্পোরেশন ৭৪ টি দোকানের উপরে টিন সেট দেয় পরবর্তিতে বরাদ্দকৃত হকার্সরা নিজ অর্থায়নে দোকান তৈরী করে ব্যবসা করে আসছে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বড় দোকানের জন্য প্রতিমাসে ভাড়া ধায্য করা হয় ৬০০ শত টাকা এবং ছোট দোকানের জন্য ৪০০শত টাকা। ২৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য পুলিশ সুপার হকার্স মার্কেট এলাকায় প্রেসব্রিফিংকালে তিনি হকার্সদের সমস্যার কথা শুনেন কিন্তু যাদের কাছ থেকে তিনি সমস্যা জনিত কথা শুনেন তারা হচ্ছে ফুটপথের নেতা তথা রহিম মুন্সি ও আসাদ এরা হকারর্স মার্কেট কমিটির আওতাভুক্ত কেহ নন।
এ ব্যাপারে হকারর্স মার্কেট কমিটির সভাপতি ডালিম হোসেন ডালু ও সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নাজিম জানান, রহিম মুন্সি কিংবা আসাদ আমাদের হকার্স মার্কেট কমিটির কেহ নন। নাঃগঞ্জ সিটি কর্পোঃ হকার্স মার্কেট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি রেজি নং ২৫/১৬ আমরা নির্বাচন করে বৈধভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমরা অনেক আশায় ছিলাম পুলিশ সুপারের নিকট আমাদের সুবিধা অসিুবিধার কথা তুলে ধরবো কিন্তু আমরা কমিটির নেতৃবৃন্দ কথা বলতে চাইলে প্রশাসনের কাছে পরিচয় দিলেও একটি পক্ষ আমাদের সুযোগ দেয়নি, তারা ফুটপাত নেতা রহিম মুন্সি ও আসাদকে সুযোগ করে দেয় আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তবে নাঃগঞ্জ হকাররা জানেন কষ্টে জর্জরিত হয়ে বিগত ১০ বছর ব্যবসা করে আসছি, আইনের যথাযথ নিয়ম মেনে কিন্তু আজ সুযোগ এসেছিল পুলিশ সুপারকে আমাদের ন্যায্য কিছু সুবিধা অসুবিধার কথা বলার কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালী। তারা জানান মার্কেট স্থাপনার পর হতে এখানে প্রসাব পায়খানা ও নামাজের কোন স্থান করা হয়নি ওজুখানার ব্যবস্থা হয়নি নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা এখানে ব্যবসা করে যাচ্ছি ।
বর্তমান দোকান মালিকদের মাননীয় পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করে তারা বলেন , এই মার্কেটে গড়ে তোলা হয় ছোট বড় সর্ব মোট ৬৭২টি টি দোকান এর মধ্যে ৭৪ টি টিন সেট ৫৯৮ টি মাঠের খালী জায়গায় ৩ ফিট বাই ৩ ফিট দোকান। তারা আরো বলেন প্রথম অবস্থায় তালিকাভুক্ত হয়ে যারা দোকানগুলো পান এর মধ্যে আমরা অনেক হকাররা তারিকাভুক্ত হতে পারিনি,পরবর্তিতে বরাদ্দকৃত দোকানের হকার্স মালিকরা আমাদের কাছে একটি মুল্যে দোকান ডিট করে হস্তান্তর করেন সেই সুবাদে এখন আমরা ব্যবসা করে আসছি। তবে আমরা যতমুল্যে দোকান ক্রয় করেছিলাম তাতে আমরা ততটুকু লাভবান হতে পারিনি বিধায় ঋণে জর্জরিত হয়ে পরেছি। তারা আরো বলেন এসপি মহোদয় বললেন যে,যারা যে দোকানের মালিক তারা নিজ নিজ দোকানেই বসেই ব্যবসা করবেন কিন্তু আমরা কতিপয় হকার্সরা বরাদ্দকৃত হকার্সদের কাছথেকেই ডিড সুত্রে দোকান ক্রয় করে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছি।