নিউজস্বাধীন বাংলা :নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমরা মনেকরি জনগণ একে অপরকে সহযোগীতা করার চেষ্টা করছে। এবং আমাদের মাইকিং করার ফলে জনগণের মনে একটা স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার ( ২৩ জুলাই) দুপুরে নগরীর চাষাড়া হকার মার্কেটের সামনে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ‘ছেলেধরার’ গুজব ছড়ানো বিষয়ে প্রেসব্রিফিংএ তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আমি আবারও বলছি, ছেলেধরা সর্ম্পকে কেউ যদি কোনো গুজব ছড়ায় সেই গুজবে আপনারা কান দিবেন না। এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটাতেও চায়, আপনারা পার্শ্ববর্তি পুলিশকে খবর দিবেন। আমাদের অলরেডি একটি ইর্মাজেন্সি টিম আছে, যখনি আপনারা কন্ট্রোল রুমকে জানাবেন তাৎক্ষনিক ভাবে আমরা তাকে উদ্ধার করবো। কেউ যদি নিজের হাতে আইন তুলে নেয়, তাহলে সেটা হবে বড় অপরাধ।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন হত্যা করার কারনে অলরেডি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। অনেকে মামলার আসামি হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তে যারা দোষি সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রূপগঞ্জের পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাল বাদে পরশু সেখানে নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত সেখানে কোনো ধরনের কোনো প্রোবলেম হয় নাই। জনগণ তাদের ভোট সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। তবে হ্যাঁ, কারো বিরুদ্ধে যদি মাদকের মামলা থাকে, কারো কাছে যদি মাদক পাওয়া যায় বা কারো বিরুদ্ধে যদি অন্যকোনো মামলা থাকে, তাহলে তাকেতো ধরা নিষেধ না। এখন পর্যন্ত কেউ হয়রানির শিকার হয়েছে কি না, আমি জানিনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহদী ইমরান সিদ্দিকী, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহউদ্দিন আহমেদ, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হক, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) মো. সাজ্জাদ রোমন প্রমূখ।