নিউজস্বাধীন বাংলা : ‘বাল্য বিবাহ রোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে’ জানিয়ে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেছেন, বাল্য বিবাহের সাথে যারাই সম্পৃক্ত থাকবে তাদেরকে জেলে যেতে হবে। তারা কোনো ভাবে ছাড় পাবে না। আর বাল্য বিবাহের অনুষ্ঠানে পোলাও গোস্ত খাবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার কারন তার নির্বাচনী এলাকায় বাল্য বিবাহ হচ্ছে তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
সোমবার (২২ জুলাই) ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসস‚চির আওতায় সকল বয়স্ক, বিধবা ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভোগীদের মধ্যে ভাতার বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডিসি আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা দিতে হবে এমন গুজবে কেউ কান দিবেন না। আর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহ মারধরসহ গণপিটুনী দিচ্ছে। এসব কাজ না করে কাউকে সন্দেহ হলে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দিয়ে তাদের হাতে সোপর্দ করতে হবে। ছেলেধরা গুজবে কাউকে মারধর করবেন না। ছেলেধরা সন্দেহ অতিউৎসাহি হয়ে একজন লোককে মারতে গিয়ে একদিন হয়তো দেখবেন নিজের কোনো আত্মীয়কে মারধর করছেন। গুজবে কান না দিয়ে নিজেরা সচেতন হন তাহলে দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হবে।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে সদর উপজেলার সমাজ সেবা অফিসার ফিরোজ আলমের সঞ্চানালয়ে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, স্থানীয় সমাজ সেবক জামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রোজিনা আক্তার, সাজেদা বেগম, কামরুল হাসান, আক্তার হোসেন, মো. ইসলাম মিয়া, সামসুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দিদার হোসেন সহ অন্যান নেতৃবৃন্দ।
ডিসি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বয়স্ক, বিধবা ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কাউকে কোন ঘুষ দিবেন না। ভাতা পেতে হলে কেউ যদি কোনো সমস্যা কিংবা হয়রানীর শিকার হন তাহলে সরাসরি ইউএনও’কে অবগত করবেন। যেকোনো সমস্যা নিয়ে ইউএনও’র সাথে দেখা করে আপনার সমস্যার কথা জানাবেন। এসব ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যেন প্রাপ্য ব্যক্তিরা যেন কোনো কারনে বঞ্চিত না হয়।