নিউজস্বাধীন বাংলা : কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিলের গ্রেফতার ও তার নামে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অপর কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরেশদ।
এক প্রতিবাদ বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ‘জনগনের ডাকে কাউন্সিলারের এগিয়ে যাওয়া অপরাধ হতে পারে না’। শুক্রবার (১৯ জুলাই) মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. আলী সাবাব টিপু স্বাক্ষরিত এক বার্তায় ওই নিন্দা জানান তিনি। বার্তায় কাউন্সিলর সাদরিলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও করেন তিনি।
টিপুর পাঠানো বার্তায় উল্লেখ তরা হয়, স¤প্রতি একটি ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশেনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিএম সাদরিলকে গ্রেফতার ও তার নামে মামলা দায়ের তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
বিবৃতিতে কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন কোনো, ঘটনায় এলাকাবাসীর আহবানে এগিয়ে যাওয়া একজন কাউন্সিলরের দায়িত্ব। দায়িত্ব কখনো অপরাধ হতে পারে না। তিনি অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত প‚র্বক কাউন্সিলার সাদরিলের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুর এলাকার কালু মিয়ার বাড়ির চারতলায় ভাড়া থাকে সেলিনা ইসলামের বোন ও বোন জামাই। তাদের মধ্যে চলমান বিবাদ মেটাতে ১৭ জুলাই রাতে কুমিল্লা থেকে পিএসকে নিয়ে ওমরপুর ছুটে আসেন তিনি। পরে তিনি ফেরার সময় তার ভগ্নিপতি বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী ডাকাত পড়েছে ভেবে জড়ো হয় বাড়ির নিচে। তখন স্থানীয়রা দেখতে পান হন্তদন্ত হয়ে সেলিনা ইসলাম ও তার পিএস সিঁড়ি ভেঙে নিচে নেমে আসছেন। তার কোনো অঘটন ঘটিয়েছেন ভেবে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে উঠলে এমপির পিএস পিস্তল বের করলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ মানুষ এমপির গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় এমপির পিএস সোহেল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ কাউন্সিলর সাদরিলসহ ১০ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে।