নিউজস্বাধীন বাংলা: সোনারগাঁয়ের নদীখেকো আল-মোস্তফার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারায়নগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ‘ঘ’ অঞ্চল মামলাটি আমলে নিয়ে গুরুত্বসহকারে সোনারগাঁও থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সোনারগাঁও উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত হাজী আ. গফুরের ছেলে আ.আজিজ বাদী হয়ে সোনারগাঁয়ের চিহ্নিত নদীখেকো আল-মোস্তফাকে হুকুমের আসামী করে এবং উপজেলার সাতভাইয়াপাড়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মো. হামিদুল্লাহ এবং একই গ্রামের আ. হামিদের ছেলে শ্যামল হোসেনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, আসামীরা গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১২ তারিখে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া আ. আজিজের বাড়ীতে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আল-মোস্তফার নেতৃত্বে অন্যন্য আসামীরা আব্দুল আজিজকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আব্দুল আজিজ জানায়, আল-মোস্তফা সোনারগাঁয়ের চিহ্নিত নদীখেকো। তার বাহিনীর ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খোলতে সাহস পায় না। আল-মোস্তফার বাহীনী প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। চাঁদা না পেলে জোড়পূর্বক এলাকার শত শত কৃষকের কৃষি জমি দখল করে ও নদী দখল করে। আশা করি মামলা করে ন্যায়বিচার পাবো।
মামলার বিষয়ে আব্দুল আজিজের আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানায়, আল-মোস্তফাসহ তিনজনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী “ঘ” অঞ্চল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গুরুত্বসহকারে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যাহার মামলা নং- ১৫৩/২০১৯.