নিউজস্বাধীন বাংলা: ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় ইউরোটেক্স নামে একটি রপ্তানীমূখী পোষাক কারখানায় চাঁদাবাজ আতংকে দিন কাটছে মালিক পক্ষের। ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে এর আগে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী চুন্নু বাহিনীর অস্ত্রধারীরা গার্মেন্টে প্রবেশ করে মালিকসহ কর্মচারিদের মারধর করে লুটপাট চালায়। এ ঘটনার ৯ মাস পর পারভেজ নামে এক সন্ত্রাসী গ্রেফতার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে আনোয়ার ও মাসুম নামে আরো দুই সন্ত্রাসী।
ইউরোটেক্স গার্মেন্ট মালিক সাখাওয়াত হোসেন রানার দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৯ অক্টোবর স্থানীয় সন্ত্রাসী পারভেজ ও তার দুই সহযোগী সহ অজ্ঞাত আরো ৭জন গার্মেন্টে প্রবেশ করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এলাকায় গার্মেন্ট চালাতে হলে স্থানীয় ছেলেদের চাঁদা দিতে হয় দাবী করে পারভেজ। এতে গার্মেন্ট মালিক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরের দিন ৩০ অক্টোবর বিকেলে তারা ৫/৭ জন অস্ত্রধারী গার্মেন্টে প্রবেশ করে গার্মেন্ট মালিক সাখাওয়াত হোসেন রানাসহ কর্মকর্তাদের মারধর করে জানালার গøাসসহ ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এরপর সন্ত্রাসী চাঁদার টাকার জন্য আবার আসবে বলে হুমকি দিয়ে যাওয়ার সময় গার্মেন্টের ম্যানেজার আবুল বাশার লিটনের গলা থেকে এক ভরি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সন্ত্রাসীদের সেই দিনের তান্ডব এখনো গার্মেন্ট মালিক ও গার্মেন্টের কর্মরতদের মধ্যে থেকে আতংক যায়নি। এসব সন্ত্রাসীদের লিডার চুন্নু ও তার সহযোগী পারভেজ গ্রেফতারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও প্রকাশ্যে রয়েছে তাদের আরো এক ডজন সন্ত্রাসী।
এলাকাবাসী জানান, সন্ত্রাসীরা সুধু চাঁদাবাজি করেনা তারা এলাকায় ভূমি দস্যুতা, মাদক ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের উত্যক্ত থেকে রেহায় পায়না স্কুল, কলেজের ছাত্রীরাসহ গার্মেন্টকর্মীরা। চুন্নু বাহিনীর তাÐব যারা কাছে থেকে দেখেনি তারা কখনো বুঝতে পারবেনা এরা কত ভংকর। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনির কাছে চুন্নু বাহিনীর সকল সদস্যকে গ্রেফতার করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।