নিউজ স্বাধীন বাংলা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
এর আগে গত ২৭ জুন সকালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ অসুস্থবোধ করলে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। গত ৪ জুলাই দুপুরে এরশাদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেদিনই চিকিৎসক সূত্রে জানানো হয়েছিল, তার শারীরিক অবস্থা একেবারেই খারাপের দিকে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছিলেন তিনি। সৃষ্টিকর্তার বিশেষ রহমত ছাড়া তার এই যাত্রায় বেঁচে যাওয়াও যে কঠিন সে বিষয়েও আভাস দিয়েছিলেন চিকিৎসকদল। একইদিন সন্ধ্যায় সাবেক রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার অবনতি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে না বলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এইচ এম এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের। এর আগে রবিবার (৩০ জুন) রাত সোয়া ১১টার দিকে এরশাদের ছোট ভাই ও জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানিয়েছিলেন, এরশাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। ৩০ জুনের আগে বনানীতে দলটির কার্যালয়ে অপর এক সংবাদ সম্মেলন জিএম কাদের এরশাদের শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে জানান, এরশাদের ফুসফুসে পানি এসেছে, ইনফেকশন দেখা দেওয়ায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ফুসফুসে পানি জমার কারণে সকাল থেকেই তার (এরশাদ) কিছুটা শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। যে কারণে, অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। গত ২২ জুন সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করার পর এরশাদের ফুসফুস ও কিডনিতে সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর ২৭ জুন পুনরায় অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে সিঙ্গাপুর নেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে দেশেই রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।