নিউজ স্বাধীন বাংলা: শিক্ষা ও শিক্ষক কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ সদরের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ইং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী নির্বাচনের পর সন্ধ্যা ভোট গননা শেষে ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা এবং বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমীতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১০৫৭ জন ভোটারের মধ্যে ৮৬২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মাত্র ৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে মো.একেএম ইব্রাহিম (মুসলিম নগর হাইস্কুল, প্রতীক বই) ৩৭৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মো: আব্দুস সোবহান (ইসদাইর রাবেয়া বিদ্যালয়, প্রতীক চেয়ার) ৫৪৬ ভোট পেয়ে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লখ্য,একটি মামলা দায়ের করার পর যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে শিক্ষা ও শিক্ষক কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ সদরের নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন সম্পন্নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিত করার দাবি তুলে আদালতে একটি মামলা (দেওয়ানী ৩১/১৯) দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এসএইচ এম মনিরুজ্জামান সরকার। তার প্রেক্ষিতে গত ৯ জুলাই এব্যাপারে ২ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলেন।
১১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ ৪র্থ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট উভয়পক্ষের শুনানি শেষে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে রায় দেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এড.আনিসুর রহমান দিপু, এড.জসিম উদ্দিন, এড.জালালউদ্দিন আহমেদ, এড.রাজীব, এড.কানিজ প্রমুখ।বাদী মনিরুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এড.হারুন অর রশিদ, এড. রেজাউল করিম রেজা।
যার ফলে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর কোন বাধা থাকেনি।
ইতিমধ্যে, ২৩ জুন থেকে প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ, মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ১৪ টি পদে ৩৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে সভাপতি পদে ৪ জন, সহ-সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে ২ জন, প্রচার সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক , সাহিত্য সম্পাদক, ধর্ম সম্পাদক , দপ্তর সম্পাদক পদে ২ জন করে প্রার্থী হন, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে ১ এবং কার্যকরী সদ্য পদে ৬ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে মনিশংকর হালদার (চিত্তরঞ্জন কটন মিল স্কুল, প্রতীক দোয়াত কলম), মো.একেএম ইব্রাহিম (মুসলিম নগর হাইস্কুল, প্রতীক বই) এবং সুলতানা বেগম রতœা (বেগম রোকেয়া খন্দকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতীক গোলাপফুল) এর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে মো. রেজাউল করিম মিয়া (রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতীক ছাতা) এবং আব্দুস সোবহান (ইসদাইর রাবেয়া বিদ্যালয়, প্রতীক চেয়ার) এর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ৫টি পদেই।